শাহাদাত কামাল শাকিল:
গতকাল ৩০-৯-২০২৫ ইং তারিখ দুপুর অনুমান ১.২০ মিনিটে কুমিল্লা নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের লক্ষী ফদুয়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের মেয়ে সাদিয়া আক্তার (০৮) তার পার্শ্ববর্তী বায়জিদ হোসেন (২২) এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে।
এ বিষয়ে সাদিয়ার (৮) পিতা নাঙ্গলকোট থানায় একটি অভিযোগ করেন, অভিযোগে সে বলেন, আমি একজন সহজ সরল গ্রাম্য লোক। আমার ছোট মেয়ে সাদিয়া আক্তার (০৮) কে ধর্ষক বায়জিদ হোসেন গত ৩০/০৯/২০২৫ইং তারিখ দুপুর অনুমান ০১.২০ ঘটিকায় আমার বসতবাড়ী হইতে ডেকে নিয়ে আমাদের বসতবাড়ীর পিছনে সেচের মেশিন ঘরের পিছনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টাকালে আমার মেয়ের পড়নের প্যান্ট ও গেঞ্জি খুলে ফেলে ধর্ষণের সময় আমার মেয়ে চিৎকার করিলে আমার ছেলে আরাফাত হোসেন (১২) ঘটনাস্থলে গিয়ে উক্ত ঘটনা দেখতে পায় এবং আমাদের পরিবারের লোকজনদেরকে উক্ত ঘটনা জানাইলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণের আলামত দেখে অনুমান করা যায়।
পরবর্তী সময়ে আমি আমার মেয়েকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাই, এবং যাহার চিকিৎসা কপি অত্র সাথে সংযুক্ত রয়েছে, বিবাদীর এসব কর্মকান্ডের বিষয়ে আমি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের মাধ্যমে ধর্ষকের পিতার কাছে বিচার চাহিতে গেলে,সে আমার সাথে গালমন্দে লিপ্ত হয় এবং উক্ত ঘটনা মিথ্যা বলে চালিয়ে দেয়।
স্থানীয় লোকজনের সাথে আলোচনা করে জানা যায় বায়েজিদ কোন ধরনের কাজকর্ম না করে নানা অপরাধ অপকর্ম করছেন। প্রতিনিয়ত তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ অতীতেও শোনা গেছে বলে জানা যায়।
আসামীর পিতা বর্তমানে আমার নামে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করিয়া আমাকে হয়রানী করিবে বলিয়া প্রকাশ্যে হুমকি দমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে।
এমতাবস্থায় বিবাদীর বিরদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।
এ বিষয়ে লাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনর্চাজ এ কে ফজলুল হক জানান আমি মেয়ের জবানবন্দি শুনেছি মামলার প্রস্তুুতি চলছে, এবং আসামি গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply