ওমর ফারুক আহম্মদ, নেত্রকোনা বারহাট্টা প্রতিনিধি:
একটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি একাধিক কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়। সেটি না হলে প্রকল্প বাস্তবায়ন নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। দেখা যায় যে প্রকল্প শেষ করতে হবে, সেটি মাথায় রেখে সমন্বয়হীনভাবে কাজ শেষ করে দেওয়া হয়। তাতে জনগণ সুফল পাওয়ার বদলে বরং আরও ভুক্তভোগী হয়। এমনটি দেখা গেছে নেত্রকোণা বারহাট্টা উপজেলার । সেখানে একটি সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সড়কের সাডে বিদ্যুতের খুঁটি রেখে দেওয়া হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনার চরম ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগজনক।ঢালায় সড়কের ঠিক সাডেখানে দাঁড়িয়ে আছে বিদ্যুতের খুঁটি। ছবি দেখেই যে কারও মনে প্রশ্ন আসতে পারে, এ সড়ক দিয়ে কীভাবে গাড়ি চালানো সম্ভব? বিদ্যুতের খুঁটি রেখে দিয়ে এমন উন্নয়ন অবাস্তব মনে হলেও এটিই আসলে এ দেশে নিদারুণ বাস্তবতা। বারহাট্টা উপজেলা গোপালপুর মেইন সড়ক গেলে এমন দৃশ্যের দেখা মিলবে।ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ওটিবিএল এর স্বত্বাধিকারী আলিমুদ্দিন বলেন, বিদ্যুৎ এর খুঁটিগুলো সরানোর জন্য তিন বার পল্লী বিদ্যুৎ এর লোকজন এসে দেখে গেছে। খুঁটি সরিয়ে কোথায় স্থাপন করা হবে সে-ই জায়গাও দেখিয়ে দেয়া হয়েছে।রাস্তার মাঝে খুটি রেখে সংস্কারের কাজ কেন করছেন জিজ্ঞেস করলে,নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ এর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম মিত্র বলেন, নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৩ বার ওই জায়গা ভিজিট করেছে। তারা বলেছে, যে যে খুঁটি গুলো সরানোর মত সেগুলো সরিয়ে দেবে। নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার, প্রকৌশলী মাসুম আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক তৃতীয় মাত্রা বলেন, আমার ৭৫০ জন কর্মচারী। কে কোথায় গিয়ে কি বলেছে তা আমার জানা নেই, আগে জানতে হবে। আপনি লিখিত অভিযোগ দেন পরে দেখবো। তিনি আরও বলেন রোডস এন্ড হাইওয়ে আমাদের জায়গা দেখিয়ে দিক, আমরা সেখানে খুঁটি স্থানান্তরিত করবো। এখন আমি ডিসি অফিসে মিটিংএ আছি, আপনি বিকালে যোগাযোগ করেন। বিকালে কি আপনাকে ফোন দেবো এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমাকে ফোন দিতে হবে না। আপনি বিকালে বারহাট্টা এজিএম এর সাথে গিয়ে দেখা করেন।
Leave a Reply