নাজমুল হক ইমু :
রাজধানীর মিরপুর-১২ থেকে শ্যামলী যেতে রাইড শেয়ারের মোটরসাইকেল ভাড়া করেছিলেন কর্মজীবী ওই নারী। চালকের দেওয়া হেলমেট মাথায় পরার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের চেতনা- চিন্তাশক্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। শ্যামলির বদলে চালক তাকে অন্যদিকে নিয়ে যেতে থাকলেও অদ্ভুত কারণে কোনো বাঁধা দেওয়া সম্ভব হয় না তাঁর পক্ষে।
কয়েক ঘন্টা চলার পর নরসিংদীর ঘোড়াশাল এলাকার একটি কালভার্ট সংলগ্ন নির্জন স্থানে এসে বাইক থামে। ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা বাঁধাদানের শক্তিহীন এক শহুরে নারীকে সেখানে প্রথমে ধ র্ষ ণ, নিজের মর্জিমতো দৃশ্য ও বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও ধারণ, আর সবশেষে সঙ্গে থাকা যাবতীয় পয়সাকড়ি কেড়ে নিয়ে নির্জন প্রান্তরে তাকে ফেলে রেখে দ্রুত সটকে পড়েন রাইড শেয়ার বাইক চালক। ভেবেছিলেন, হয়তো বেঁচে গেছেন। অজুত জনতার ভীড়ে কোন রাইড শেয়ার চালক কে কোথাকার কোন নারীকে কোথায় নিয়ে কি করলো, কে মেলাবে তার হদিস।
কিন্তু পুলিশের ভাবনাটা ভিন্ন ছিল, ৯৯৯ এর কলের মাধ্যমে খবর পেয়ে প্রথমে নির্জন প্রান্তরে পড়ে থাকা সেই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তারপর মামলার ৪৮ ঘন্টা না পেরোতেই সোনার চানকে লোহার চৌদ্দ শিকের খাঁচায় আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।পাঠাও উবার মটর সাইকেল রাইড শেয়ারের ‘যাত্রীরা হুশিয়ার, আজ সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে মা-বোনদের, প্রতি পুলিশের অনুরোধ- রাইড শেয়ারের যানবাহনে চড়ার সময় দয়া করে একটু চোখ-কান খোলা রাখুন। কে জানে জনাকীর্ণ রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আরো কতো জঘন্য সাইকোপ্যাথিক অপরাধী ওঁৎ পেতে বসে আছে রাইড চালকের বেশে, হয়তো অনাগত কোনো শিকারের প্রত্যাশায়। যে কোন ঘটনা সন্দেহ হলেই ৯৯৯ কল করে পুলিশ কে তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন।
Leave a Reply