1. mahamudreja02@gmail.com : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  2. presssoliman06@gmail.com : naim :
  3. dailynewsbangla756@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ডেইলি নিউজ বাংলা ২৪ এ সারাদেশে জেলা ও উপজেলা, ক্যাম্পাস, ব্যুরো প্রধান  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যোগাযোগঃ-01606638418,+6585413954।
শিরোনাম
নাগরপুরে ১কেজি গাঁজাসহ মাদক বিক্রেতা গ্রেফতার শ্রীবরদীতে ঐতিহ্যবাহী বৈশা বিলে কাঠের সেতু উদ্বোধন যশোরে শিক্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত নওগাঁয় ভারতীয় ওয়াকফ আইন বাতিল ও মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল কুড়িগ্রামে ভিজিএফ এর চাল আত্মসাতে ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন তাড়াশে পিকআপ চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার নবাবগঞ্জে পুলিশ-জনতা সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করতে ওপেন হাউজ ডে বিএনপির সেক্রেটারির ভাতিজা পরিচয় দিয়েও শেষ রক্ষা হলোনা,নিষিদ্ধ  ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার যশোর জেলায় ট্রেনিং রিক্রুট কনস্টেবল(টিআরসি)পদে সম্পূর্ণ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বিশেষ ব্রিফিং সভা অনুষ্ঠিত নওগাঁয় মানবিক বাংলাদেশ শীর্ষক বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশি পরিচয়ের মধ্যেই পার্বত্য সমস্যার ৯০ শতাংশের সমাধান: শামসুজ্জামান দুদু

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৩৪ বার

গোলাম আলী নাইম,ঢাকা বিশেষ প্রতিনিধি:

আমরা সবাই বাংলাদেশি। এর চেয়ে বেশি কিছু হওয়ার প্রয়োজন কারো নেই। আমেরিকার নাগরিকরা যেমন আমেরিকান, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা যেমন অস্ট্রেলিয়ান, বৃটেনের নাগরিকরা যেমন বৃটিশ, তেমনি যদি আমরা সবাই বাংলাদেশি হতে পারি তাহলেই পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার ৯০ শতাংশ সমাধান হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

তিনি আরো বলেন, ‘আদিবাসী’, ‘নৃগোষ্ঠি’ এবং ‘সংখ্যালঘু’ এসব আলাদা আলাদা পরিচয়ের মধ্যেই যত সমস্যা। নিজেদের আলাদা আলাদা পরিচয় থাকতে পারে যেমন আমরা বাঙালি, কেউ চাকমা, কেউ মারমা। কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের মূল পরিচয় আমরা সবাই বাংলাদেশি। তাছাড়া, কেউ যদি মনে করে, পার্বত্য চট্টগ্রামে শুধু আমরাই থাকব, তাহলে সেটা ঠিক হবে না। তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গিটাই নানা সংকট তৈরি করে।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, তারা নিরাপত্তা ও অধিকার চাওয়ার নামে এতদিন যে অস্ত্র ধরেছেন, এটা তো ঠিক না। আমাদের প্রতিবেশী দেশের সেভেন সিস্টার্সে সমস্যা আছে, তারা চায় এ ব্যাপারে আমরা যেন কথা না বলি। তাদের সমস্যা তারা দেখবেন। একইভাবে আমরাও প্রত্যাশা করি, আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা নিয়ে তারাও চুপ থাকবেন। আমরাই আমাদের সমস্যার সমাধান করব। বাংলাদেশ কারো দয়া-দাক্ষিণ্যের ফসল না। উপমহাদেশে আমরাই একমাত্র জাতি, যারা এক সাগর রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি। আমি মনে করি, রক্ত দিয়ে স্বাধীন করা ভূখণ্ডের প্রতি ইঞ্চি মাটির সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার সামর্থ্য আমাদের আছে। কেউ যদি মনে করে ষড়যন্ত্র করে এখান থেকে এক ইঞ্চি মাটিও ছিনিয়ে নেবেন, তাহলে তারা ভুল করবেন। আমরা তা হতে দেব না। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে বাংলাদেশি প্রফেশনালস্ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা: উত্তরণে রাজনৈতিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধানঅতিথি হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু আরো বলেন, পার্বত্য সমস্যার সাথে এনজিও’দের সংশ্লিষ্টতা আছে। কিন্তু এনজিওবিদ এবং রাজনীতিবিদদের নীতি এক না। কেউ কেউ চায় সমস্যাকে জিইয়ে রেখে বিদেশ থেকে ফান্ড এনে ব্যবসা করতে। আর রাজনীতিবিদরা চায় সমাধান করে সকল নাগরিককে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে একসঙ্গে বসবাস করতে।

তিনি আরো বলেন, আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক, সবার অধিকারও সমান। সবাইকে নিয়ে আমরা বাংলাদেশি হিসেবে একই অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই। এটাই আমাদের স্পিরিট, এটাই বিএনপির স্পিরিট।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা একটি ভৌগোলিক সমস্যা। এটাকে সামগ্রিক বিবেচনায় নিতে হবে। কেউ যখন সেখানে আলাদা কিছু দাবি করেন, তখনই বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রশ্ন ওঠে। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান সবাইকে বাঙালি হতে বলে যে সংকটের সৃষ্টি করেছিলেন, ১৯৯৭ সালে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা শান্তিচুক্তির নামে একটি চরম বৈষম্যপূর্ণ চুক্তি করে সেই সংকটকে আরো জটিল করেছেন। এই চুক্তিতে শান্তির লেশ মাত্র নেই। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সৃষ্ট সরকারকে এই শান্তিচুক্তি বাতিল করে নতুন সংবিধানে সকল নাগরিকের জন্য ন্যায্যতা, সমতা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহারের কথা বলেন। কিন্তু এখন কেউ যদি বলে বগুড়া কিংবা লালমনিরহাটে সেনাবাহিনী থাকায় স্থানীয়দের সমস্যা হচ্ছে, তাই সেখান থেকে সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করতে হবে বলে দাবি করেন, সেটা কি কোনোভাবেই যৌক্তিক হবে? তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে তারা কেন সেনাবাহিনীর প্রত্যাহার চাইছেন? আসল কথা হচ্ছে, পার্শ্ববর্তী দেশের ষড়যন্ত্রের পথে বাধা হচ্ছে সেনাবাহিনী। তাই তারা স্থানীয়দের উস্কানি দিয়ে সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহারের দাবি তুলছে। কিন্তু আমরা তো এটা হতে দিতে পারি না। আমাদের দাবি হচ্ছে, ঢাকার একজন নাগরিক যে অধিকার পাবেন, তারাও সে অধিকার পাবেন। ঢাকার একজন নাগরিক যে ধরনের নিরাপত্তা পাবেন, পাহাড়ে তারাও ততটুকু নিরাপত্তা পাবেন। আলাদা অধিকারের নামে কেউ ষড়যন্ত্র করবেন তা মেনে নেওয়া হবে না।

বাংলাদেশি প্রফেশনালস আয়োজিত এই আলোচনা সভার সঞ্চালনা ও সভাপতিত্ব করেন সিএইচটি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও পার্বত্যনিউজের সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক মেহেদী হাসান পলাশ। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আজকে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে যে অস্থিরতা এর অন্যতম প্রধান কারণ সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি আদায় করা। সরকারের ভেতর থেকে কোনো কোনো মহল এ ব্যাপারে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উস্কানি দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। রোহিঙ্গা সমস্যাকে কেউ যেমন বাংলাদেশের ‘কক্সবাজারের সমস্যা’ বলে না। ঠিক তেমনি পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা নয়’। এটি বাংলাদেশের সমস্যা। তাই বাংলাদেশের সকল মানুষকে এই সমস্যার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে এবং সমাধানে সক্রিয় হতে হবে। রাজনীতিবিদরা যেহেতু দেশ পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন, তাই এই সমস্যা সমাধানে তাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

গণঅধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, সম্প্রতি আমরা দেখেছি পাঠ্যবইয়ে। ‘আদিবাসী’ শব্দ যুক্ত করেছিল এনসিটিবি। এটা নিয়ে পক্ষ বিপক্ষ হয়ে নতুন সংকট সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের কথা হলো, আমরা যেমন বাঙালি, তেমনি তারা চাকমা, মারমা, গারো; তাদের সেই পরিচয় বহন করতে সমস্যা
কোথায়? অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারা ষড়যন্ত্র করছে। পাহাড়ে তারা বাঙালিদের নির্যাতন করছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী পার্বত্য চুক্তি করেছিল শুধুমাত্র নোবেল পুরস্কার পাওয়ার লোভে। এই চুক্তির উদ্দেশ্য শান্তি প্রতিষ্ঠা ছিল না। উদ্দেশ্য ছিল শাস্তি স্থাপনের নামে বিদেশিদের খুশি করে নোবেল পুরস্কার পাওয়া। এই চুক্তি দিয়ে শান্তি আসেনি, আসবেও না।

তিনি আরো বলেন, যখন যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তারাই হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং বিভিন্ন নৃগোষ্ঠিদের বেশি অধিকার দিয়ে খুশি রাখতে চেয়েছে। কিন্তু তারা বেশি অধিকার, সুযোগ-সুবিধা নিয়েও কখনো সন্তুষ্ট হয়নি। বরং নতুন নতুন দাবি তোলে সংকট সৃষ্টি করেছে। এটা বন্ধ করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী অভ্যুত্থান থেকে সৃষ্ট সরকারকে বলব, বৈষম্যযুক্ত পার্বত্য চুক্তি বাতিল করুন, সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করুন। আমরা সবাই বাংলাদেশি, এই দেশ সবার। এই দেশে একজন মুসলিম যতটুকু অধিকার, সুযোগ-সুবিধা পাবে, একজন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, নৃগোষ্ঠির মানুষও একই অধিকার পাবে। এর বাইরে কারো কোনো বিশেষ অধিকার থাকতে পারে না। একমাত্র প্রতিবন্ধী কোটা ছাড়া এই দেশে আর কাউকে কোনো কোটা দেয়া যাবে না।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার জন্ম দিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান, সবাইকে বাঙালি হওয়ার কথা বলে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার সমাধান করেছিলেন। কিন্তু জেএসএস এবং তাদের সশস্ত্র গোষ্ঠি শান্তিবাহিনী শাস্তির পথে আসেনি। তারা প্রতি মুহূর্তে সেখানে বসবাসরত বাঙালিদের হত্যা করেছে। এটা আঞ্চলিক কোনো সমস্যা নয়, এটা বাংলাদেশের সমস্যা। তাই জাতীয়ভাবেই এটাকে সমাধান করতে হবে।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান আরো বলেন, তারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে। কিন্তু এখন আবার ‘আদিবাসী’ ইস্যুতে খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র করছে। আমরা তা হতে দেব না। বিএনপি-জামায়াত পার্বত্য চুক্তিকে কালো চুক্তি আখ্যায়িত করে লং মার্চ করেছিল। ক্ষমতায় গিয়ে তারা এ ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি। আমরা আশা করি, এ ব্যাপারে তারা স্পষ্ট বক্তব্য দেবেন। চুপ থেকে সমস্যাকে জিইয়ে রাখা চলবে না। আমরা সব সময় জাতীয় বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলি। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাও যে আমাদের জাতীয় সমস্যা সেটা যেন মনেই করি না। এটা ঠিক না। আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়েও কথা বলতে হবে ভোলার একজন নাগরিক যে অধিকার ও সুবিধা পাবে, পাহাড়ের বাসিন্দারাও ততটুকুই পাবে। এর বেশি যে চাইবে, তারাই এদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী। তাদের সর্বাত্মকভাবে প্রতিহত করতে হবে।

এনডিএমের মহাসচিব মোমিনুল আমিন বলেন, আমরা সব সময় জাতীয় কোর ইস্যুতে কথা বলি। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাকে সেভাবে এড্রেস করা হয় না। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা জিও পলিটিক্যালি খুবই গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সমস্যা। বৃটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশের শাসন ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার আগে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের সাথে যুক্ত করতে চেয়েছিল। পাহাড়ের নেতৃবৃন্দও সেটাই চেয়েছিল। সেকারণেই ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পরও কয়েকদিন পার্বত্য চট্টগ্রামে ভারতীয় পতাকা উড়ানো হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের টিকে থাকার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থেই পার্বত্য চট্টগ্রামকে আমাদের ভূখণ্ডের সাথে যুক্ত করা হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, বৃটিশদের পরিকল্পনা ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম, মিয়ানমার এবং ভারতের সন্নিহিত এলাকা নিয়ে খ্রিস্টা রাষ্ট্র বানানোর। সে কারণেই তারা এই অঞ্চলকে এক্সক্লুডেট এরিয়া ঘোষাণা দিয়ে বিচ্ছিন্নতার বীজ বপন করেছিল। সমস্যার মূল সেখানেই নিহিত আছে। সেখানে যারা ‘আদিবাসী’ হতে চান, তারা মূলত কয়েকশ’ বছর
আগে মায়ানমার, ভারতসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নিরাপত্তা সংকটের কারণে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। সেই তারাই এখন এই দেশের ‘আদিবাসী’ দাবি করেন কোন যুক্তিতে?

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির এবং হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান হামেদি বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তিতে শান্তির লেশমাত্র নেই। দেশ বিরোধী, সংবিধান বিরোধী ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী এই চুক্তিকে বাতিল করতে হবে। এখন আবার শুরু হয়েছে ‘আদিবাসী’ ইস্যুতে নতুন ষড়যন্ত্র। বর্তমান সরকারের উচিত, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সকল চুক্তির সঙ্গে এই পার্বত্য চুক্তিকেও খতিয়ে দেখা এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে এই চুক্তিকে বাতিল করা।

এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নিয়ামুল বাসির বলেন, বাংলাদেশে আমরা বাঙালিরাই ‘আদিবাসী’। যারা এখন নিজেদের ‘আদিবাসী’ দাবি করছে তারা মায়ানমার, ভারতের সেভেন সিস্টার্স থেকে বিতাড়িত হয়ে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে। তারা কোনো যুক্তিতেই এখানকার ‘আদিবাসী’ না। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা দীর্ঘদিনের সমস্যা। সেখানে বাঙালিরা কোটার কারণে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা মনে করি, এই দেশে কারো জন্যই আর কোটার প্রয়োজন নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি, সবার অধিকারও সমান। সেখানে আমরা ট্যাক্স দেব, আর তারা রাষ্ট্রের সব সুবিধা নেবেন কিন্তু ট্যাক্স দেবেন না তা হতে পারে না। এটা বন্ধ করতে হবে। নানা জটিলতায় পার্বত্য বাঙালিরা ভোটার হতে পারছেন না। দেশের যোগ্য সকল নাগরিকের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিসহ সকল নাগরিককে ভোটার করার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে।

আলোচনা সভার মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাংবাদিক সৈয়দ ইবনে রহমত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মিনহাজ মুর্শিদ প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Archive Calendar

এপ্রিল ২০২৫
সোম মঙ্গল বুধ বৃহঃ শুক্র শনি রবি
« মার্চ    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
 

©All rights reserved © Daily newsbangla24.