স্টাফ রিপোর্টারঃ
আশুলিয়া সাভার মাদক ব্যবসায়ী সহ জুয়ারিদের নিকট থেকে মাসিক মাসোহারা আদায় এবং সিভিল গাড়ি নিয়ে ডিবির অফিসারদের ফোর্স দের লোক ধরে গাড়িতে উঠাইয়া রেখে দেওয়া পরবর্তীতে চাহিদা মোতাবেক ছেড়ে দেওয়া এবং বেপরোয়া চলাচল করায় ঢাকা জেলা ডিবি উত্তরের অফিসার/ ফোর্সদের চলাফেরায় ক্ষুব্ধ আশুলিয়া সাভার ধামরাইবাসি।
১/সাভারের ১নং ওয়ার্ড বেদেপড়ায় প্রায় ৮-১০ হাজার লোকের বসবাস, তারা সবাই মাদক ব্যবসায়ী। এখান থেকে ফিক্সড মান্থলি ১৪ লক্ষ টাকা আসে। তারমধ্যে বেদেপাড়ার খোকনের স্পট থেকে আসে মাসে ৩ লাক্ষ টাকা।
২/ রাজাসনের কুখ্যাত মাদক সম্রাট শামীম এর কাছ থেকে প্রতি মাসে ৫ লক্ষ টাকা মাসিক নেয়।শামীম হিরোইন,ফেন্সী ও ইয়াবা পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে।
শামীমের মাদক বিক্রি করার জন্য ২০ জন সেলসম্যান আছে।শামীম আনোয়ার দারোগার ব্যবসায়িক পার্টনার যতো হিরোইন ফেন্সী ইয়াবা এসআই/ আনোয়ার এবং এএসআই/মেহেদী ধরে তা সব শামীম কে দিয়ে বিক্রি করিয়ে থাকে।
৩।কালিয়াকৈরের হিরোইন ব্যবসয়ী রিতার মাধ্যমে রাজশাহী থেকে হিরোইনের বড় চালান ধরে তার মাধ্যমেই বিক্রি করে।
৪।আমিনবাজার বরদেশী এলাকার মাদক ব্যবসায়ী জাহি, রুকি, সাবানা, মনা কাছ থেকে এক লক্ষ করে ১০ লক্ষ টাকা নেয়।
৪/ মামুন ওরফে টাফেন্টা মামুন হেমায়েতপুর ডিবির পুরাতন অফিসারদের বিশেষ করে আনোয়ার রেজাউল দের কে টাকা দিয়ে কাজ করে।
৫/বাবুল ওরফে ইয়াবা বাবুল পল্লী বিদ্যুৎ আশুলিয়া-১৫০০০০
৬/ আউকপাড়া যেখানে এস আই জুয়েল সাথে ঝামেলা হয়েছিল প্রায় দুই তিনশ পরিবার সবাই মাদক ব্যবসায়ী।আউকপাড়ার মর্জিনা, সুমি, লিপি, ভান্ডারীর কাছ থেকে সোর্স নয়নের মাধ্যমে এসআই/আনোয়ার, এএসআই/মেহেদীর মোটা অংকের টাকা নেয়।
৭/ কবিরপুর, বাড়ৈপাড়া এবং বাইপাইলে ৪/৫ টি জুয়ার বোর্ড থেকে ডিবির পুরাতন এসআই/ আনোয়ার এর মাধ্যমে ওসি জালাল উদ্দিন নিকট প্রতি মাসে তিন লক্ষ টাকা দেয়।
৮।ফেন্সী ব্যাবসায়ী রুবেল(রাজাশন),বাবু, শিশির(কাতলাপুর),বকুল(আমিনবাজার), কবির(রাজফুলবাড়িয়া),রাজীব(তালবাগ), সুরাপ(টিয়াবাড়ী গেন্ডা),সংগ্রাম(বাজার রোড),হারুন হুজুর(ইসলামপুর ধামরাই), ফেন্সি জাপানি, আলতাব, হাজির নাতি সোহেল(কাটপট্টি সাভার), শাহাদাত(কলমা), মিন্টু(আমিনবাজার), ইউসুফ(ইমান্দীপুর),টুটুল(নামাবাজার), ফিরোজ(নদীর ঐপাড়), সোহাগ (ব্যাংক কলোনী) এগুলা সব বড় ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী।তাদের সবাইর সাথে এসআই/আনোয়ার, এএসআই/মেহেদীর সুসম্পর্ক। অনেকবার বড় ফেন্সির চালান সহ ধরছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মামলা না দিয়ে ছেড়ে দিছে।
বর্তমানে মানথলী হিসেবে টাকা উঠায় এসআই/আনোয়ার এবং কং/রেজাউলের মাধ্যমে ৩৮/৪০ লক্ষ টাকা মাদক এবং জুয়ার নিকট থেকে নিয়ে আইসা ডিবির ওসি জালাল স্যারকে বুঝাইয়া দেয় ।
ডিবির ওসি স্যার পাঁচটি হায়েজ গাড়ি ভাড়া করে প্রতিদিন পাঁচজন অফিসার কোর্স দিয়ে সকালবেলা বের করে দেয় পরের দিন সকালের পূর্বে যেই অফিসাররা গাড়ি নিয়ে বের হইছে তারা প্রত্যেকে ৫০০০০/৭০০০০ টাকা করে ওসি স্যারকে বুঝায়ে দিতে হয়। এইসব টাকার বাগনাকি উপরে যায় এজন্য কেউ কোন কথা বলে না।
এসআই/আনোয়ার নিজে হাইস গাড়ি দিয়া টিম করে এবং মান্তলি উঠায়। এসব স্পটে অন্য কোন অফিসার গেলে তাহাকে হুমকি দেওয়া হয় এবং তার বিরুদ্ধে সাংবাদিককে পত্রিকা দেখানো হয়। সাভারের সার্কেল স্যার অনেক কিছু জানে ডিবির ওসি স্যারের মাধ্যমে কিছু দিয়া তাকেও পক্ষে নিয়া রাখছে।
***এসআই/আনোয়ার ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি নুরুল স্যারের একই গ্রামে বাড়ি।তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে গেলেই নুরুল স্যারকে দিয়া অন্যত্র পোস্টিং করায় দেয়।এসআই/আনোয়ার, এএসআই/মেহেদী সাভার ডিবিতে প্রায় তিন বছর যাবৎ আছে।
এসআই/আনোয়ার এবং কং/রেজাউলের সাথে মহিলা কং/সুমাইয়ার সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে যেহেতু তাদের মাধ্যমে ডিভির ওসি স্যার মানথলী টাকা নেই তাই দেখেও না দেখার ভান করে এই বিষয়ে ডিবির সবাই খুবই লজ্জাহীনতায় আছে যাহা পলিশ বাহিনীর কাম্য নয়।
মাদক ব্যবসায়ীদের ধরার লাইগা গিয়া ২/৩ মাস আগে ডিবির এএসআই সহ কয়েকজন ডিবির মাইর খাইছে।হাসপাতালে ছিল একমাস।রাতের বেলা আরেকদিন মাইর খাইছে।উপরে অন্য কিছু বুজাইছে।
এসআই/আনোয়ার, এএসআই/মেহেদী, কং/রেজাউল, কং/সুমাইয়া তিনবছর যাবৎ একসাথে টিম করে মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ সহ জুয়াড়িদের নিয়ন্ত্রণ করে।
Leave a Reply