1. dailynewsbangla756@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ডেইলি নিউজ বাংলা ২৪ এ সারাদেশে জেলা ও উপজেলা, ক্যাম্পাস, ব্যুরো প্রধান  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যোগাযোগঃ-01606638418.
শিরোনাম
যশোর বাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা এস.এম. রুহুল আমিন সিডিএ’র উদ্যোগে ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সদর ইউএনও ফেনী জেলা এবি পার্টির অর্থ সম্পাদক মাস্টার শাহ আলম শাহিন সোলতানীর ঈদের শুভেচ্ছা বেঁচে ফেরা সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরনকে কুয়াকাটায় সংবর্ধনা বিরলে নানা আয়োজনে সিডিএ-এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হলেন নাসিরনগরের কৃতি সন্তান অ্যাড.মো.আব্দুল আজিজ খান ফেনীর লাইন” চালু নামে প্রতারণার চক্রের মূলহোতা নুরু মুহাম্মদ শাহেদ ফেনীর লাইন বাস হয়ে গেল হানিফ পরিবহন দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ১৪ লাখ টাকার মাদক উদ্ধার ঈদ যাত্রায় কিছুটা পরিবহন সংকট, কয়েকগুণ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

ফেনীর লাইন” চালু নামে প্রতারণার চক্রের মূলহোতা নুরু মুহাম্মদ শাহেদ ফেনীর লাইন বাস হয়ে গেল হানিফ পরিবহন

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫
  • ১০১ বার

 

মহিউদ্দিন মহি খন্দকার – ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:

ফেনীর লাইন বাস গুলো চালু হবার আগেই নাম পরিবর্তন হয়ে গিয়ে হানিফ পরিবহন পরিনত হয়েছে।

৪ জুন রাতে ফেনীর লাইন অফিসের ব্যবস্থাপক নুরু মুহাম্মদ শাহেদ এর অফিস কক্ষে কিছু ভুক্তভোগী গ্রাহক আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে একটি ভিডিও ফুটেজে, ইতিমধ্যেই ভিডিও ফুটেজটি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে; ফেনীর লাইন চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে তরুণ প্রজন্মের কিছু উদেক্তা ; ফেনীর সাধারণ মানুষের এই আবেগ টা পুঁজি করে প্রতারণার ফাঁদ পেতে মাঠে নামছে শাহেদ চক্রের কিছু অজানা যুবক। তাঁরা ফেনীর লাইন বাস কাউন্টার অনুমতি দেয়ার কথা বলে প্রতি জন থেকে ১১৭৫০ টাকা বিকাশ ০১৭৯১৯৮১২৬০ এই নাম্বারে মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। চাকরি দেয়ার প্রলোভনে প্রায় শতাধিক যুবকের কাছ থেকে জামায়াতের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উদ্ভাবন না হওয়ায় ফেনীর শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। নিত্য নতুন কলাকৌশল সব নিমেষে যেন শেষ হয়ে গেছে ভিডিও ভাইরাল হয়ে। এই বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করতে মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।

এর আগে চট্টগ্রামে হালিশহর এলাকার বিস্ময়কর যুবক নুর মোহাম্মদ শাহেদ। প্রতারণাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন তিনি। একের পর এক অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়াকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। কেউ অভিযোগ দিলে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। পরে আবার বের হয়ে নতুন কৌশল অবলম্বন করে প্রতারণায় জড়িয়ে পড়েন।

পুলিশ বলছে, প্রতারণা করতে গিয়ে মেধার পরিচয় দিচ্ছেন শাহেদ। যে কারণে তার পাতানো ফাঁদে সহজেই পা দিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়, পুলিশের মামলা ও গ্রেপ্তার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা থাকে সিডিএমএস (ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) নামে একটি ওয়েবসাইটে। যেখানে কারও নাম-ঠিকানা দিয়ে সার্চ দিলে একজনের নামে কয়টি মামলা রয়েছে এবং আগে কখনও ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে থাকলে তার তথ্য সংরক্ষিত থাকে। এই সিডিএমএসে শাহেদের নাম-ঠিকানা দিয়ে সার্চ দিলে তার নামে চারটি মামলা পাওয়া যায়। সবগুলো মামলায় প্রতারণা সংক্রান্ত। এসব মামলায় চারবার গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি।

সবশেষ গত ৩০ জানুয়ারি প্রতারণার একটি মামলায় নগরের হালিশহর থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন শাহেদ।

সিডিএমএসের তথ্য অনুযায়ী, শাহেদের নামে ২০২১ সালের ২৫ জুন নগরের ইপিজেড থানায় মামলা রেকর্ড হয়। এরপর ২০২২ সালের ৩ আগস্ট খুলশী, ২০২৩ সালের ৩০ মে হালিশহর এবং সবশেষ গত ৩০ জানুয়ারি একই থানায় আরেকটি মামলা রেকর্ড হয়। এসব মামলায় শাহেদ ২০২১ সালের ২৫ জুন ইপিজেড থানা পুলিশের হাতে, ২০২২ সালের ১২ আগস্ট খুলশী থানা পুলিশের হাতে, ২০২৩ সালের ৩১ মে হালিশহর থানা এবং গত ৩০ জানুয়ারি একই থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন।

একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া সচরাচর প্রতারণার অভিযোগের মামলা থানায় রেকর্ড হয় না। এ ধরনের অভিযোগে আদালতেই বেশিরভাগ মামলা হয়ে থাকে। আর আদালতে মামলা হলে সেগুলো পুলিশের ওয়েবসাইটে রেকর্ড থাকে না। শুধু থানায় মামলা হলে পুলিশের ওয়েবসাইটে রেকর্ড থাকে। শাহেদের নামে শুধু থানার মামলা পাওয়া গেছে চারটি। এর বাইরে আদালতে দায়ের হওয়া মামলাও থাকতে পারে।

তারা আরও বলছেন, থানায় কারও নামে চারটি মামলা থাকা মানে তিনি বড় ধরনের প্রতারক।

তা ছাড়া ওয়েবসাইটে শাহেদের প্রোফাইলে প্রতারক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
যেভাবে প্রতারণা করেন শাহেদ:

নুর মোহাম্মদ শাহেদ ফেনী জেলার শর্শাদি ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য মোহাম্মদ নুর নবীর ছেলে। বাবার চাকরির সুবাদে নগরের হালিশহর থানার গোলন্দাজ সড়কে আর্টিলারির পাশেই বড় হয়েছেন তিনি। এই এলাকায় নৌবাহিনীর কিছু সদস্য ভাড়া বাসায় থাকেন। এ কারণে নৌবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে শাহেদের সখ্যতা গড়ে ওঠে। নৌবাহিনীর সদস্যদের যাদের বাড়ি চট্টগ্রামের বাইরে তাদের অনেকেই প্রাপ্ত রেশন বিক্রি করে দেন। শাহেদ এসব রেশন কিনে বিক্রি করতেন। পরবর্তী সময়ে দুরন্ত বাজার নামে একটি প্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নৌবাহিনীর লোকজনের সঙ্গে মেলামেশার কারণে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে জানতেন তিনি। বিভিন্ন জায়গায় শাহেদ নিজেকে পরিচয় দেন নৌবাহিনীর সাব-লেফটেন্যান্ট। ২০২২ সালের ১২ আগস্ট গ্রেপ্তারের সময় খুলশী থানা পুলিশ শাহেদের কাছ থেকে নৌবাহিনীর ইউনিফর্ম, ক্যাপ, বেল্ট, ব্যাগ, জুতা, দুটি নেভির বুট জুতা, নেমপ্লেট, র‍্যাঙ্ক ব্যাজ ও রেড ব্যাজসহ বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করে।

ওই ঘটনার ভুক্তভোগী ছিলেন ওমর ফারুক নামে এক ব্যবসায়ী। শাহেদ গ্রেপ্তারের কয়েক মাস আগে ভুক্তভোগীর মালিকানাধীন শো-রুম থেকে একটি মোটরসাইকেল কেনেন। সেই সুবাদে ওমর ফারুকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।

এ ব্যবসায়ী জানান, শাহেদ নৌবাহিনীর সাব-লেফটেন্যান্ট বলে পরিচয় দেয়। এতে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং একে অপরের বাসায় যাওয়া-আসা শুরু করেন। ২০২২ সালের ১০ জুন শাহেদ তার প্রতিষ্ঠানে যান। তখন সিলেটে বন্যা ছিল। শাহেদ তাকে বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের প্রস্তাব দেন। তিনি রাজি হলে শাহেদ তার মালিকানাধীন দুরন্ত বাজার থেকে কম দামে চাল, চিনি ও সয়াবিন তেল বিক্রির ইচ্ছা প্রকাশ করেন। অর্ডার অনুযায়ী মোট পণ্যের দাম ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকা বলে জানান। শাহেদের প্রস্তাব পেয়ে তিনি নগদ ও চেকের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা দেন। কিন্তু শাহেদ পণ্য সরবরাহ না করে লাপাত্তা হয়ে যান।

সবশেষ গত ৩০ জানুয়ারি হালিশহর থানায় রেকর্ড হওয়া মামলা সূত্রে জানা যায়, মাহমুদা আক্তার নামে এক নারী ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন— তার ভাতিজা মো. রেজাউল হক শিশিরের সঙ্গে ব্যবসায়িকভাবে পরিচয় হয় শাহেদের। পরে শাহেদ তার কাছ থেকে স্বল্পমূল্যে চিনি, ডাল, সয়াবিন তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয়ের প্রস্তাব দেয় শিশিরকে। প্রস্তাবে রাজি হয়ে ২০২৪ সালের ২ এপ্রিল সাহেদের ইউসিবি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১২ লাখ টাকা এবং নগদে এক লাখ টাকাসহ সর্বমোট ১৩ লাখ টাকা প্রদান করেন। কিন্তু এসব টাকা নিয়ে মালামাল দেননি শাহেদ।

পুলিশের নথিতে শাহেদকে পেশাদার প্রতারক উল্লেখ করে আরও বলা হয়, শাহেদ প্রতারণার মাধ্যমে ভুক্তভোগী মো. আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা, সাদ্দাম হোসেনের কাছ থেকে দুই লাখ ৬৫ হাজার টাকা, তানজিফুল আলমের কাছ থেকে ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৮৫০ টাকাসহ আরও বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে নানা কৌশলে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Archive Calendar

জুন ২০২৫
সোম মঙ্গল বুধ বৃহঃ শুক্র শনি রবি
« মে    
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
 

©All rights reserved © Daily newsbangla24.