গোলাম আলী নাইম, ঢাকা বিশেষ প্রতিনিধি:
নবীজীর দুশমন, নিকৃষ্ট মুরতাদ, কাট্টা কাফের, কুলাঙ্গার বক্তা মিজান আযহারী, তার সমগোত্রীয় এবং সহযোগীদের অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই 'ফাঁসি'র দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঈমানের মূল। উনাকে জীবনের থেকে বেশি মুহব্বত করা এবং বেশি তাযীম-তাকরীম করাই হচ্ছে ঈমান। তিনি শুধু আল্লাহ পাক নন এছাড়া সমস্ত মর্যাদা মরতবা মুবারক উনার তিনিই মালিক। তিনি কুল মাখলুকাতের জন্য উসওয়াতুন হাসানাহ, সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক। স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে আয়াতে আয়াতে, হরফে হরফে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা ছিফত মুবারক, প্রশংসা মুবারক করেছেন। যে বা যারা উনার শান মুবারকের খিলাফ বলবে মহান আল্লাহ পাক তাদেরকে সর্বনিকৃষ্ট লানতগ্রস্থ বলে ঘোষণা করেছেন এবং মহান আল্লাহ পাক নিজেই তাদের জন্য 'কৃতল' বা 'মৃত্যুদণ্ড' ঘোষণা করেছেন। আজ ৪ঠা রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৮ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন, ০৫ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি: ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) বাদ আছর রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে ফালইয়াফরাহু চত্ত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা নবীজীর দুশমন কুলাঙ্গার বক্তা মিজান আযহারীকে নিকৃষ্ট মুরতাদ, কাট্টা কাফের বলে ঘোষণা দিয়েছেন এবং তার ও তার সমগোত্রীয় যারা প্রাণপ্রিয় নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী করে এবং নবীজী উনার শানে কটুক্তি বা ব্যঙ্গ করে তাদের সকলের অবশ্যই 'ফাঁসী' দাবী করেছেন। ইনছাফ কায়েমকারী ছাত্র- শ্রমিক-জনতার বক্তাগণ বলেন, "নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক শানে কোন কুলাঙ্গার মানহানী করলে অবশ্যই তার শরঈ শাস্তি 'ফাঁসি' বাস্তবায়ন করতেই হবে। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে কেউ উনার মুবারক শানে বেয়াদবি করলে তার একমাত্র শরয়ী শাস্তি 'ফাঁসি' দিতিই হবে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের দেশ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। ইনছাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার বক্তাগণ বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি এ বিষয়ে পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন,
"নিশ্চয়ই যারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেয়, দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের ওপর মহান আল্লাহ পাক উনার লা'নত এবং তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন অত্যন্ত কঠিন লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।” (পবিত্র সুরা আহজাব শরীফ উনার ৫৭ নং আয়াত শরীফ)।
পবিত্র সূরা তওবা উনার ৬১ নং আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঘোষণা মুবারক করেন,
"যারা মহান আল্লাহ্ পাক উনার রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেয় তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা নূর উনার ৬৩ নং আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, "তোমরা পরস্পরকে যেভাবে সম্বোধন করো সেভাবে মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কখনও সম্বোধন করবেনা।"
বক্তাগণ বলেন, "নবীজীর দুশমন, কাট্টা কাফির, বুলাঙ্গার বক্তা মিজান আযহারী তার বক্তব্যে প্রিয় নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে "কাউবয়' এবং অনুরুপ অনেক মানহানীমূলক শব্দ বলে সম্বোধন করে চরম কুফরী করেছে। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ। নাউযুবিল্লাহ। তাই এই নিকৃষ্ট কাফেরের একমাত্র শরয়ী শাস্তি হচ্ছে 'ফাঁসি'।" ইহুদি-মুশরিকদের দালাল এই নিকৃষ্ট মুরতাদ বক্তা কাট্টা কাফির আহাজারী তারা গাঁজাখোরী বক্তব্যে মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত উম্মাহাতুল মু'মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিরুদ্ধে অনেক মানহানীকর অপবাদমূলক শব্দ উচ্চারণ করেছে। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ।। বক্তাগণ আরো বলেন, কাট্টা কাফির মিজান গাঁজাখোরীর মত প্রায় একই রকম বক্তব্য দিয়েছে তথাকথিত প্রধান উপদেষ্টা। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে ইহানত করার অপরাধে প্রধান উপদেষ্টাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে নয়তো তাকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই সব কাফিররে শরয়ী শাস্তি বাস্তবায়ন করতেই হবে। সাথে সাথে সমাবেশের আয়োজনকারী বিড়ি ব্যবসায়ী আকিজ গ্রুপকেও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং কারণ দর্শাতে হবে। নতুবা তাকেও গ্রেফতার করে বিচারেরর আওতায় আনতে হবে। এটা উম্মতের জন্য ফরজ। দেশে-বিদেশে কোথাও এদের সমাবেশ করতে দেয়া যাবেনা। এদের বক্তৃতার যারা আয়োজন করবে তাদেরকেও গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং শরয়ী শাস্তি বাস্তবায়ন করতে হবে। মহাসম্মানিত প্রাণপ্রিয় নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুশমনদের, হযরত উম্মাহাতুল মু'মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের দুশমনদের, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের দুশমনদের এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দুশমনদের একমাত্র শরয়ী শাস্তি 'কৃতল' বা 'ফাঁসি' বাস্তবায়ন করা উম্মতের জন্য ফরজ।
প্রতিবাদ সমাবেশে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার শতাধিক কর্মী এবং মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শত শত আশেক উম্মত উপস্থিত ছিলেন। সকলে জোরে জোরে তাকবীর দিয়ে নিকৃষ্ট কুলাঙ্গার বক্তা মিজান আজহারী এবং তার সমগোত্রীয় রফিক আফসারী, আমির হামজাসহ নবীজীর সকল দুশমনদের ফাঁসি দাবী করেন।
প্রধান উপদেষ্টাঃ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান,অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট।। সম্মানিত উপদেষ্টাঃ সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ আমজাদ হোসেন রতন ।। সিনিয়র সাংবাদিকঃ ডা.এম এ মান্নান ।। সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ রেজাউল করিম ।। নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ সোলায়মান হোসাইন ।। বার্তা সম্পাদকঃ জাকারিয়া আল ফয়সাল।
যোগাযোগঃঠিকানা: হাসেম মার্কেট, কুরগাও, নবীনগর, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা 1216। রোড নাম্বার 733 হো নাম্বার 805 ফোন: +65 8541 3954, 01894589037,মেইল:dailynewsbangla24info@gmail.com
Copyright ©️ 2024 in Daily News Bangla 24