কারিমুল ইসলাম:
৭ই মে মোংলা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনকে সামনে রেখে,শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলে মোংলা উপজেলাকে জাতীয়তাবাদী শক্তির ঘাটিঁতে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যাক্ত রেখে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবু হোসেন পনি।
শনিবার (৩ মে) সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও শহর বিএনপির ভোটারদের কাছে তিনি ভোট প্রার্থনা করেন।
এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়াই করছেন শেখ রুস্তম আলী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন ঝংকার ফকির, উপজেলা বিএনপি সদস্য মৃধা ফখরুল ইসলাম ।
আবু হোসেন পনি এর গণসংযোগ ও প্রচারণায় সর্বত্র উৎসবের আবহ বিরাজ করছে মংলা উপজেলায় । বিভিন্ন স্থানে সমর্থকরা ও নেতাকর্মীরা প্রার্থীদের সঙ্গে চালাচ্ছে গণসংযোগ। অন্যদিকে গ্রামে গ্রামে প্রচারণায় সমর্থকদের উৎসাহের কমতি নেই।
আবু হোসেন পনি জানা যায়, তিনি একজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি বিএনপির সাথে ওতপ্রোত ও নিবিড় সর্ম্পকে জড়িত। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৩ সালে কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি, ১৯৯৬ সালে পৌর ছাত্রদলের সভাপতি, ২০০১ সালে মংলা উপজেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা সহ সাধারণ সম্পাদক,২০০৩ সালে মংলা উপজেলার যুবদলের সভাপতি এবং জেলা সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।তিনি বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে মংলা উপজেলা বিএনপির দলিয় সভা করেছেন লাগিয়েছেন ব্যানার ফেস্টুন । রাজনৈতিক জীবনে প্রায় ডজন খানেক মামলা মাথায় নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের পাশে থেকেছেন আবু হোসেন পনি। এ ছাড়াও কারাগারে হাজতবাসও করেছেন একাধিকবার।
ভোটাররা তাদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে বলে জানিয়ে আবু হোসেন পনি ,
বিগত দিনের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মোংলা উপজেলা বিএনপিকে বাগেরহাট জেলার একটি আধুনিক সংগঠনে পরিণত করতে চাই। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকেই আমার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন। তিনি নিজেও বিশ্বাস করেন, ১৯৮৯ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তৃণমূল এবং নীতিনির্ধারকরা ব্যালটের মাধ্যমে তাঁকে বিজয়ী করবেন।
তিনি আরো বলেন, ভোটারদের কাছে আমি অতীত কর্মকাণ্ডের সমালোচনা ভুলে ভোট প্রার্থনা করছি এবং আশাবাদী, তাঁরা আমাকে জয়ী করবেন।
Leave a Reply