মোঃ আকাশ উদ্দিন
(ইসিবি প্রতিনিধি)
৩০ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে বন্ধু দীপ্ত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বাইক এক্সিডেন্ট করে। সেখানে বরারবরই মানুষ তাকে দেখছিল কেউ সাহায্য করছিল না এবং তার সাথে থাকা মোবাইল ও মানিব্যাগ চুরি হয় স্পট থেকে। এরপর একজন কর্মজীবি ভাই মানবিকতার সাথে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়, এবং সেখান থেকে আশংকাজনক অবস্থা দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়। ইমারজেন্সি বিভাগে তাকে রাখা হয় এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সহ অনেক ফরমালিটিস পূরন করতে সেই কর্মজীবি ভাইকে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়, তখন ও জীবিত দীপ্ত। কিছুক্ষন পর সব হলে তাকে যখন ২০১ এ নেওয়া হলো নার্স অক্সিমিটার দিয়ে নির্নয় করলো, “ঠিক আছে” বলে ঘুমাতে চলে যায়। সেই কর্মজীবি ভাইটি অনেকবার তাগিদ দেওয়ার পরেও সে ঠিক আছে এই বলে তারা বিশ্রামে চলে যায়। যখন ছেলেটার মুখে ফ্যানা চলে এসেছে এবং অক্সিজেনের প্রয়োজন ছিলো তাকে অক্সিজেন কেনার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু হয়তো সাথে টাকা না থাকার কারনে সে সেই অর্থ দিতে পারে নি। এবং সর্বশেষ ভোড় ৬ টা ৫০ এর দিকে সে মৃত্যুবরন করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) । এখন এই ছেলেটার মৃত্যুর জন্য কে দায়ী?
ছেলেটা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ওব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্ট্মেন্ট এর তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
যখন সে মারা যায় কেউ জানে না তার স্বজনরা, বন্ধুরা কেউ না। যখন সকলে জানতে পারে, দীপ্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজে আছে আমরা সকলেই সেখানে উপস্থিত হই এবং তার লাশটি মর্গে ছিল। যখন আমরা জানতে পারি এই পরিস্থির কারনে মারা যায় অবহেলিত হয়ে, তখন কি কারো মাথা ঠিক থাকবার কথা?
যখন সকলে কারন জানতে চাইলো, তাদের সাথে ডাক্তার’দের যুক্তি আর অবহেলার কথা প্রকাশ করা হলো, ছাত্রদের সাথে ডাক্তার’দের কথা কাটাকাটি হয় এবং আবেগের বসে হাতাহাতিও হয় যেটা সম্পুর্ন ভিডিও ঢামেকের সিসিটিভি তে আছে। এরপর ডিরেক্টর স্যারের সাথে যখন সবাই শেয়ার করলো ব্যাপারটা তখন সকলকে কনফারেন্স রুমে নিয়ে Brigadier General Md. Asaduzzaman স্যার সকলের থেকে ব্যাপারটা সম্পুর্ন শোনেন। সেখানে বি ইউ বিটির ভাইস চ্যান্সেলর স্যার ও ছিলেন, ছাত্রদের পক্ষ হয়ে । এর মধ্যেই আসে সাস্থ্য মন্ত্রনালয় এর সমন্বয়করা। যারা হাসানাত আব্দুল্লাহ এর লোক বলে আমরা জানতে পারি, তারা একিউজ করে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা সন্তাস।
এটা কোনো শিক্ষিত মানুষের কথা হতে পারে? এরপর এক পর্যায়ে ছাত্রদের সাথে অনেকটা চেচামিচি করেন তারা। এরপর সেখানকার পরিস্থিতি কন্ট্রোল করতে ৩ গাড়ী সেনাবাহিনী আসে।
এরপর আসে মূল ঘটনা, আমরা আমার ভাইয়ের মৃত্যুর কারন জানতে চাইলে এবং আর কেউ যেন এভাবে অবহেলিত হয়ে মারা না যায় সেই প্রটেস্ট করলে আমাদেরকে সন্তাস বলা হয় এবং তারা কেন প্রটেস্ট করলো এই জন্য তাদের বিরুদ্ধে করা হয় মামলা। এবং আগামীকালকে তারা চিকিৎসাই নাকি দেবেনা। কি করে পারেন আপনারা? আপনাদের প্রেশার থাকে আমরা জানি, কিন্তু আপনাদের ব্যবহার আর আপনাদের অবহেলার যে কোন শেষ নেই সেটা কি আপনারা অস্বীকার করতে পারবেন?
এখানে প্রমান সহ দেখুন সব নিজেরাই। এটাই আমার স্বাধীন বাঙ্গলা যেখানে মৌলিক চাহিদা চাইতে গেলে তারা মামলা দিবে, আর নাম দিবে সন্ত্রাসী। আর কত পরিমান দূর্নীতি চান আপনারা? কমতো করলেন না।
এই দেশ আপনাকে আর আমাকেই গড়তে হবে। সমন্বয়ক তো শুধু শব্দ মাত্র।
Leave a Reply