ফারিছ আহমদ, হোসেনপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলস্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ভৈরব থানার ওসি মো. শাহীন মিয়া।
৩৫ বছর বয়সী চন্দন দাস আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি। তাকে বর্তমানে ভৈরব থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ওসি শাহীন মিয়া বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভৈরব থানার একদল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তাকে চট্টগ্রামে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
তিনি বলেন, “চন্দনকে ধরতে চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গত দুদিন ধরে ভৈরবে অবস্থান করছিল। তারা আমাদেরকে জানালে আমি পুলিশ নিয়ে স্টেশনে অবস্থান নিই।
“চন্দন ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে এসে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভৈরব রেলস্টেশনে নামেন এবং রেলস্টেশনে ঘোরাঘুরি করছিলেন। রাত আরও গভীর হলে ভৈরবের মেথরপট্টিতে অবস্থিত তার শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল।”
গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন।
এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়।
আইনজীবীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে আলিফের ভাই খানে আলম, যেখানে ১১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর বাইরে আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাংচুর ও পুলিশের কাজে বাধাদানের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে। ওই তিন মামলায় মোট ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
Leave a Reply