স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের ঐতিহাসিক নীলদরিয়ার বিল ইজারাদার কর্তৃপক্ষ অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সৌখিন মৎস্য শিকারিদের নিকট থেকে।
জানা গেছে নীল দরিয়া জলাশয়ে ১০ কেজি ১২ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। এবং সেই মাছ সৌখিন মৎস্য শিকারীরা টিকিট কেটে হুইল বরশি দিয়ে মাছ ধরতে পারবে
এমন একটি প্রচারণা বিভিন্ন অনলাইন এবং মুঠোফোনে মৎস্য শিকারীদের জানানো হয়।। এই বার্তা শোনার পর রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও,নওগা, বগুড়া, নাটোর, জয়পুরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে মিনি বাস মাইক্রো এবং বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে প্রায় হাজার তিনেক মৎস্য শিকারি নীল দরিয়া চলে আসে। কর্তৃপক্ষ মাছ মারার জন্য ১৫ হাজার টাকা টিকিট নির্ধারণ ও বসার জন্য ১৫ শত টাকার নির্ধারণ করে। সেখানে প্রায় শতাধিক মৎস্য শিকারি টিকিট কেটে ২৪ ঘন্টার জন্য মাছ মারার সুযোগ পায়। রাতের ঘুম হারাম করে এবং প্রচন্ড তাপদাহে বড়শিতে মাছ না ধরায় এক পর্যায়ে মৎস্য শিকারীরা কর্তৃপক্ষের নিকট টাকা ফেরত চায়। কর্তৃপক্ষ টাকা ফেরত দিতে তালবাহানা করলে মৎস্য শিকারীদের সাথে বাগবিতোন্ডা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মৎস্য শিকারিরা মার মুখী হয়ে উঠলে কর্তৃপক্ষ প্রতি টিকিটে ছয় হাজার করে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়। প্রায় অর্ধশতাধিক মৎস্য শিকারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যেভাবে প্রচার করা হয়েছিল সেটি শূন্যের কোঠায়। কেউ কেউ দুই চারটি মাছ পেয়েছে সেটির ওজন ৫০০ গ্রাম বা ৬০০ গ্রামে বেশি হবে না। দূর দুরান্ত থেকে মৎস্য শিকারীদের ডেকে এনে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে মাছ না পাওয়ায় অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অনেককে বলতে শোনা গেছে আমরা সৌখিন মৎস্য শিকারি দেশের বিভিন্ন স্থানে আমরা মাছ মারতে যাই তবে এভাবে প্রতারণা করে টাকা নেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা বলেন কেন মাছ পেল না সে দায় কেন নেব আমরা।
সূত্র, প্রথম আলো
Leave a Reply