মনা যশোর শার্শা প্রতিনিধিঃ
ঘটনা ও গ্রেফতারের বিবরণ:
মামলার বাদী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য কোতয়ালী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যে, গত ইং ২১/০২/২০২৫খ্রিঃ তার বড় মেয়ে ভুক্তভোগী নারীর বিবাহের পর কোন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ষড়যন্ত্রমূল ও পরিকল্পিতভাবে একটি হোয়াটসঅ্যাপ ও একটি ফেক ফেসবুক আইডি’র মাধ্যমে ভুক্তভোগী নারীর এডিটকৃত বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও তার শ্বশুর বাড়ি সহ নিকট আত্মীয় স্বজনদের কাছে ছড়িয়ে সামাজিকভাবে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে এবং গত ইং ০৩/০৩/২০২৫খ্রিঃ একটি হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার দিয়ে বাদীর জামাই ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর নিকট এডিটকৃত অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাঠায় এবং বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন পূর্বক হুমকি দেয় যে উক্ত ছবি ও ভিডিও যশোর সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে ভাইরাল করে দিবে। বাদী আশঙ্কা করেন যে ভবিষ্যতে হয়তো বিবাদী তার মেয়ের আরো বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে।
বাদীর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার ( সাময়িক দায়িত্বে) বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখেন এবং তদন্তের ভার সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল যশোরের উপর অর্পণ করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল যশোরের এসআই(নিঃ)/ শিবু মন্ডলের নেতৃত্বে একটি টিম অদ্য ০৬/০৩/২০২৫ খ্রিঃ ভোর ০৬.২৫ ঘটিকায় অভিযান পরিচালনা করে রাজশাহী জেলার বাঘা থানাধীন কলিগ্ৰামে আসামি মোঃ শান্ত ইসলাম(২২) এর নিজ বসত বাড়ির শয়নকক্ষ হতে তাকে গ্ৰেফতার করেন। এসময় আসামির হেফাজত হতে একটি মোবাইল ফোন ও তিনটি সিমকার্ড উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে ধৃত আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী ও আসামি শান্তর প্রায় দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় এবং পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা একাধিকবার যশোরের বিভিন্ন স্থানে দেখা করে এবং আসামি শান্ত সুকৌশলে ভুক্তভোগী নারীর সাথে কাটানো অন্তরঙ্গ মুহূর্তের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখে।
এর কিছুদিন পর তাদের মধ্যেকার প্রেমের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় এবং ভুক্তভোগী নারীর বিভিন্ন জায়গা হতে বিয়ের সম্বন্ধ আসতে থাকে।
এমন অবস্থায় আসামি শান্ত ফেসবুকে একটি ফেক আইডি খুলে ভুক্তভোগী নারীকে দেখতে আসা পাত্রপক্ষের নিকট মিতুর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে বিয়ে ভেঙ্গে দেয়।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নারীর বিয়ে হয়ে গেলে আসামি শান্ত উক্ত ছবি ও ভিডিও তার স্বামীর নিকট হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।
আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার হেফাজত হতে উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন বিশ্লেষণ করে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।
এই সংক্রান্তে ভুক্তভোগী নারীর বাবা এজাহার দায়ের করলে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-২১, তাং-০৬/০৩/২০২৫খ্রিঃ ধারা- পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর ৮(১)/৮(২)/৮(৩) রুজু হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর তথ্য:
১। মোঃ শান্ত ইসলাম (২২), পিতা- মোঃ আলী হোসেন ভুলু, সাং- কলিগ্ৰাম, থানা- বাঘা, জেলা- রাজশাহী।
উদ্ধারকৃত আলামতঃ
১। ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও তিনটি সিমকার্ড।
Leave a Reply