নাসের আবু খালেদ, কুয়েত বিশেষ প্রতিনিধি:
🗣️জ্বী ইসকন এমন আহবানে করে চট্টগ্রামে জয়শ্রীরাম স্লোগান দিতেও আমরা শুনেছি এবং দলবদ্ধ ভাবে আইশৃঙ্খলা বাহিনির উপর হামলা করা হয়েছে এটা বাংদেশের মানুষ দেখেছে। কিন্তু কি চাইছে ওরা বাংলাদেশের বর্তমানের রাজনৈতিক কোন দল নাকি সাবেক কোন দল কেন বা তাদের আহবান এমনটা হবে তাদের মূল উদ্দেশ্য কি? মুসলিম কে হত্যার মিশন কখন থেকে ভারত থেকে আসল বাংলাদেশে বিজেপি,RAW এবং সাবেক সৈরাচারী দল এর সাথে ইসকনের কি সম্পর্ক আছে?
আসুন প্রথম ইসকন 🗣️নবনির্মিত মন্দির করা হয়েছে। নান্দনিক কারুকার্য শান্তি এই মন্দিরের নামকরণ করা হয়েছে ‘ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দির’। ২০০৭ সালের ২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শ্রীল জয়পতাকা স্বামী। তিনতলা বিশিষ্ট এই মন্দিরের নকশা করেছেন ভারতীয় স্থাপত্যবিদ পুণ্ডরিক বিদ্যাদাস ব্রহ্মচারী। ১৯২১ সালে পাঁচলাইশের গোলপাহাড়ে সংঘের কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯২১-৪১ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ২৮ একর জমি কিনে বর্তমানের ইসকন।
চট্টগ্রামে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ইসকন মন্দির। পুরো মন্দিরটি নির্মিত হয়েছে রাজস্থানের মাকরানা মার্বেল দিয়ে । দরজা-জানালার কাঠ সংগ্রহ করা হয়েছে আফ্রিকা ও মায়ানমার থেকে। পুরো মন্দিরের দৈর্ঘ্য ১শ ফুট, প্রস্থ ৫০ ফুট এবং উচ্চতা ৬৫ ফুট। ১৮ গণ্ডা জায়গায় ৯টি গম্বুজবিশিষ্ট এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত।
২০১০ সাল থেকে শুরু হয় কর্মযজ্ঞ। ভারতীয় ৩০ জন ও বাংলাদেশী অর্ধশত শ্রমিক মিলে ৯ বছর ধরে একটানা কাজ করে গড়ে তুলেছেন পুরো মন্দিরের কাঠামো। ২০১৩ সাল থেকে রাজস্থানের শ্রমিকরা মার্বেল পাথরে সনাতনী চিত্রকলা খোদাই করে তা প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু করেন।
ইসকন এর এই দেশের সনাতন হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি নয়, তাদের প্রতিনিধিত্বশীল স্থানীয় কোনো ধর্ম প্রতিষ্ঠানও নয়। বিশেষত তাদের আন্তর্জাতিক ‘করপোরেট অপারেশান’কে মহামতি শ্রী চৈতন্যের জাতপাতবিরোধী সামাজিক-রাজনৈতিক আন্দোলন ও জয়শ্রীরাম বলে মানুষ কে উগ্রবাদী করতে কার্যক্রম চালায় বাংলাদেশে। ইসকনের সমালোচনা, পর্যালোচনা এবং তাদের কার্যক্রমের বিরোধিতা সনাতন হিন্দুধর্মের বিরোধিতা নয়; বরং বাংলার ঐতিহ্যবাহী ধর্ম ও ভাবের বিকৃতি রোধের জন্যই তা দরকারি।
ইসকন এর ধর্মের আড়ালে যে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল এবং গুপ্ত হামলা মানুষ হত্যার উগ্রতা দেখা যায় তা বিগত কালের অনেক হুমকীতে তা প্রকাশিত হয়। ইসকন মন্দির এর ভিতর ছোট বাচ্চাদের জয়শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ার জন্য আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থায় ভারতীয় মন যেমন বাংলাদেশ ভারতের অংশ এমন শিক্ষা দেওয়ার অভিযোগ আছে। সর্বশেষ আমরা গত সরকার পলায়ন হওয়ার পর থেকে ইসকন বার বার সাহাবাগ সহ ঢাকা ঘেরাও করার হুমকি দিয়ে আসছে। এই হুমকির পিছনে ভারতীয় শ্রীরাম স্লোগান এবং উগ্রবাদী সংগঠন সহ বিজেপি সরকার এর মদত আছে এবং তাঁরা সৈরাচারী আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে একমত হয়ে আজ বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে আর্ন্তজাতিক মহলে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তাই এখনই শক্ত হাতে ইসক কে রুখে দিতে বাংলাদেশের অনেক হিন্দুদের ইসকন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলছেন। আসলে ইসকন কোন ধর্মাবলম্বী নয় এরা উগ্রবাদী ভারতীয় এজেন্ডা এরা মানুষ হত্যার মিশনে নেমেছে।
Leave a Reply