মোঃ নজরুল ইসলাম খান:
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের উত্তর বরগ গ্রামে মসজিদ ও মাদ্রাসার নাম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে বুধবার (৫ মার্চ) বিকালে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে মহিলাসহ কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছে।
গুরুত্বর আহতদের মাধবপুর ও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ সময় বাড়ী-ঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়-২০১০ সালের দিকে উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের উত্তর বরগ গ্রামে মাওলানা জালালউদ্দিনের মাধ্যমে জনৈক সৌদি নাগরিক ও গ্রামেবাসীর অর্থায়নে উত্তর বরগ আলহানি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও বরগ মিছবাহুল উলুম দারুস সুন্নাহ হাফিজিয়া নুরানীয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ ভাবে দু’টি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়ে আসছে।
সম্প্রতি পূর্ব বিরোদ্ধের জের ধরে গ্রামের জনসাধারণ দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ফলে ওই দু’টি প্রতিষ্ঠানে থাকা না পরিবর্তনের জন্য একটি পক্ষ জোর তৎপরতা চালায় অপর দিকে আরেকটি পক্ষ যে নামে মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সে নামেই থাকার জন্য প্রচেষ্টা চালায়।
এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ বিন কাশেম উভয় পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি আগামী ১০ মার্চ মিমাংসা করে দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করেন। এরই মধ্যে বুধবার দুপুর আড়াইটা দিকে বি-বাদমান দু’গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মহিলাসহ কমপক্ষে ৩৫জন আহত হয়। গুরুত্বর আহত মনির হোসেন(২৫), আলফাজি(৩৪), সেলিনা আক্তার(২৫), মুশাররফ হোসেন(৩৫), রুবেল মিয়া(২৫), জহিরুল ইসলাম(২৩), এনামুল হক(৩০), সাহাবউদ্দিন(২৬), হাফিজউদ্দিন(৩৫), আলী হোসেন(৪০), সালমান মিয়া (৩৭), রাশেদ আলী (২১), রোকন মিয়া (১৭), আনছর আলী (৩৫), সোহেল মিয়া (৩২), জসিম উদ্দিন (২০), শাওয়াল হোসেন (২০), আলামিন (১৮), ফাতেমা আক্তার (৩৭), সুলেমা আক্তার (৩৬), সাথী আক্তার(১৯), এনু মিয়া (৩৫), সুজন মিয়া (৩২)কে মাধবপুর ও হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
Leave a Reply