ফারিছ আহমদ হোসেনপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
ফেনী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড ফেনী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সংলগ্ন ফলেশ্বরে সাবেক কাউন্সিলরের বাসায় একটা খুন হয়, ঘটনা সূত্রে জানা যায় যে খুনের শিকার হয় তিনি ঐ বাসায় কর্মরত বুয়া। ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র ঘটনার তীর ছুটে আসে ফেনী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর সাহাবউদ্দীন ছাত্রাবাসের ৩০৬ নাম্বার রুমে অবস্থানরত আবির আল রাফির দিকে। সে ৪র্থ পর্ব সিভিল ১ম শিফটে অধ্যযনরত ছাত্র। তার রুমমেটের তথ্যনুযায়ী জানা যায় ঘটনার দিন সে আনুমানিক রাত ১০টায় রুমে অবস্থান করে এবং তার আচরণ তার রুমমেটদের কাছে অস্বাভাবিক মনে হয় এবং সে রুমে থাকা ২ লিটার পানি পান করে ঐসময় রুমমেটরা লক্ষ্য করে তার হাতে আঘাত রক্তের চিহ্ন পাওয়া যায় এরপর সে ঘুমিয়ে পড়ে। পরেরদিন সকালে তার রুমমেটেরা পরীক্ষার হলে চলে গেলে সে আনুমানিক (১২-১) দিকে হল থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। ওই সময়ের পর থেকে তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তার পরিবারে এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া নাই। এবং (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) অনেক জনের কাছ থেকে জানা যায় যে সে জুয়ার প্রতি আসক্ত ছিল। জুয়া খেলতে খেলতে তার বন্ধুদের কাছে তার আনুমানিক ১৫ হাজার টাকার মত ঋণ হয়ে যায়। এবং সে এগুলো শোধ করার জন্য বাসা থেকে ল্যাপটপ কেনার কথা বলে আনুমানিক (৪০০০০) টাকার মত নিয়ে আসে। এবং সে এগুলো দিয়ে তার ঋণ সোধ করে।সে বাকি টাকা গুলো দিয়ে আবারো জুয়া খেলে সেগুলো হারিয়ে সে হতাশ এবং দিশেহরা হয়ে সে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়ে যায় এবং ধারণা করা যাচ্ছে সে ২৬ তারিখ রাতে ওই বাসাই গিয়ে চুরি করার চেষ্টা করে। ভুলক্রমে তাকে ওই বাসার কাজের বুয়া দেখে ফেলে। বুয়া তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে তার সাথে বুয়ার হাতাহাতি হয়। এবং একপর্যায়ে সে ওই বুয়াকে চুরির আঘাত করে জবাই করে খুন করে। গোপন সুত্রে জানতে পারি যে অত্র প্রতিষ্ঠানের এক দল ঘটনা টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তদন্তের প্রেক্ষিতে প্রশাসনিক লোকদের নানামুখী তৎপরতার কারণে ছাত্রাবাসে অবস্থানরত ছাত্ররা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অতএব উক্ত ঘটনাটি একটি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচার আনতায় এনে খুনীর সর্বোচ্চ শাস্তি এবং ছাত্রাবাসের ছাত্রদের উক্ত ঘটনাটি থেকে অতিদ্রুত দায়মুকক্ত করতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করছি।
Leave a Reply