বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ায় পিতার দলিলকৃত সম্পত্তি এক সন্তান অন্যান্য ওয়ারিশগণের তথ্য গোপন করে একাই নিজের নামে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার হাতেম হাসিল গ্রামের প্রয়াত আব্দুর রহমান সরকার ২৯/১০/১৯৫৯ ইং সালে দুটি দলিল মূলে ( দলিল নং ৪৩২৯ ও ৪৩৩০_ উভয় তারিখ ২৯/১০/১৯৫৯ ইং) বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলাধীন ভূবনগাঁতী মৌজায় ৩৪৩ শতাংশ ভূমি সাফ কবালা দলিল মূলে খরিদ করেন। আব্দুর রহমান সরকার চার পূত্র ও চার কন্যা ওয়ারিশ বিদ্যমান রেখে পরলোক গমন করেন। তার প্রথম স্ত্রী এক পূত্র ও এক কন্যা জন্মদান করে স্বামীর জীবীতাবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে পরে তিনি পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং দ্বিতীয় স্ত্রী রাবেয়া খাতুন তিন পূত্র ও তিন কন্যা জন্ম দিয়ে স্বামীর পরে মারা যান। তাই প্রথম স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তানদ্বয় মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী মায়ের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়। আবার আব্দুর রহমান সরকারের দ্বিতীয় স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের গর্ভজাত সন্তান আবুল কালাম সরকার দুই পূত্র ও এক কন্যা ওয়ারিশ বিদ্যমান রেখে মায়ের জীবিতাবস্থায় মারা গেলে পূত্রের এক ষষ্ঠাংশ সম্পত্তি মা প্রাপ্ত হন। কিন্তু আব্দুর রহমান সরকারের প্রথম স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তান নূরুল ইসলাম একাই ৩৩৬ শতাংশ ভূমি নিজ নামে রেকর্ড করিয়ে নেন যার আর এস খতিয়ান নং ৪০৬ চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। অথচ মুসলিম ফারায়েজ অনুসারে স্ত্রী এক অষ্টমাংশ অর্থাৎ দুই আনা সম্পত্তি পাওয়ার কথা। সে হিসেবে ৩৪৩ শতকের দুই আনা যা ৪২.৮৭৫০ শতাংশ হয় এবং বাকি ৩০০.১২৫০ শতাংশ আব্দুর রহমান সরকারের চার পূত্র ও চার কন্যার মধ্যে ২:১ অংশ অনুপাতে বণ্টন করলে প্রত্যেক পূত্রের অংশে ৫০.০২০৮ শতাংশ হয় কিন্তু পূত্র নূরুল ইসলাম একাই কীভাবে ৩৩৬ শতাংশ নিজের নামে রেকর্ড করিয়েছেন এ ব্যাপারে জরিপ অধিদপ্তরের ডিজি (সাবেক) আনিস মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকের রেকর্ড রুমে যোগাযোগ করে ওয়ার্কিং ভলিউম থেকে সঠিক তথ্য জেনে নেয়ার পরামর্শ দেন। তখন আব্দুর রহমান সরকারের দ্বিতীয় পক্ষের প্রথম সন্তান আনোয়ারা বেগমের পূত্র মুহাম্মাদ আনিসুর রহমান বগুড়ার জেলা প্রশাসকের রেকর্ড রুমের সহকারী কমিশনার মো. আজাদ হোসেনের সংগে যোগাযোগ করলে আগামী সোমবার তিনি তথ্য দেবেন বলে জানিয়েছেন। এ ঘটনাটি নিয়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply