মোঃ শাহজাহান বাশার:
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান PHP গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মিজানুর রহমান সাহেব সম্প্রতি একটি ষড়যন্ত্রমূলক ও ভিত্তিহীন মামলায় আদালত কর্তৃক নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে আইনি মুক্তি লাভ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যে ছিল সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থে পরিচালিত, তা আজ প্রমাণিত সত্য। সত্য ও ন্যায়ের প্রতি আস্থার প্রতীক হয়ে তিনি আবারও বিজয়ী হয়েছেন।
ষড়যন্ত্রের পেছনের কাহিনী: লক্ষ্য ছিল চরিত্র হনন ও প্রভাব খাটো করা
সূত্র অনুযায়ী, মিথ্যা মামলাটি একটি গোষ্ঠীভুক্ত অসাধু মহলের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ফসল। তারা সুফি মিজানুর রহমানের আর্থিক সাফল্য, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা এবং ধর্মীয় অনুশীলনের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই মামলা দায়ের করে। উদ্দেশ্য ছিল একটিই—একজন নীতিবান শিল্পপতির ভাবমূর্তি ধূলিসাৎ করা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সমাজে যখনই কোনো মানুষ সৎপথে, ন্যায়নিষ্ঠভাবে উপরে ওঠে, তখনই অসৎ ও প্রতিহিংসাপরায়ণ গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে ওঠে। সুফি মিজানুর রহমান ছিলেন তাঁদের প্রধান টার্গেট।
আদালতের রায়: কোনো অভিযোগের পক্ষে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাঁর রায়ে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, মামলার অভিযোগসমূহ ছিল দুর্বল, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তদন্ত প্রতিবেদন এবং সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে আদালত বুঝতে পারেন, এই মামলা একটি পরিকল্পিতভাবে সাজানো মিথ্যা মামলা, যার মাধ্যমে একজন সজ্জন ব্যবসায়ী নেতাকে হেয় করা হয়েছে।
ফলে আদালত তাঁকে সম্পূর্ণ নির্দোষ ঘোষণা করে মামলা খারিজ করে দেন। সুফি মিজানুর রহমানের প্রতিক্রিয়া: “সত্য কখনও পরাজিত হয় না”
রায়ের পর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন:
“আমি প্রথম থেকেই বলেছিলাম, আমার বিরুদ্ধে করা এই মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। আজ সত্যের জয় হয়েছে। আমি আইন, আদালত ও আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। সমাজের জন্য ভালো কিছু করতে গেলে অনেক বাধা আসে, কিন্তু আমি কখনও থেমে থাকিনি, আগামীতেও থামবো না।”
সমাজ ও শিল্পখাতে তাঁর অবদান: একজন উদাহরণমূলক নেতা
PHP গ্রুপ শুধু একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। সুফি মিজানুর রহমান এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন, শিক্ষায় অবদান রেখেছেন, ধর্মীয় ও মানবিক কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।
তিনি শুধু একজন সফল উদ্যোক্তা নন, বরং একজন ধর্মপ্রাণ, নৈতিকতায় বিশ্বাসী এবং সামাজিক দায়বদ্ধতায় নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি। রায়ের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসার বন্যা বইছে। সাধারণ জনগণ, ব্যবসায়ী সমাজ, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, এবং তরুণ সমাজ নেতারা তাঁর আইনি বিজয়কে “সত্যের জয়” ও “অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক সাহসী লড়াইয়ের প্রতিফলন” বলে অভিহিত করেছেন।
“সুফি মিজানুর রহমান স্যার আমাদের মতো হাজারো তরুণ উদ্যোক্তার অনুপ্রেরণা। তাঁর উপর আনা ষড়যন্ত্রমূলক মামলার অপমান শুধু তাঁর নয়, এটি আমাদের আত্মবিশ্বাসেও আঘাত করেছিল। আজ আমরা গর্বিত, কারণ তিনি আবারও প্রমাণ করলেন—সততা কখনও হারে না।”
ভবিষ্যতের বার্তা: সত্য ও সততার পথে দৃঢ় প্রত্যয় এই মামলা থেকে মুক্তি শুধু আইনি নয়, এটি সামাজিক, নৈতিক এবং আদর্শিক বিজয়ের প্রতীক। এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণ হলো—কোনো ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার বা রাজনৈতিক চক্রান্ত একজন সৎ ও আদর্শবান মানুষকে চিরদিন দমন করতে পারে না।
আলহাজ্ব সুফি মিজানুর রহমান সাহেবের এই জয় শুধুই ব্যক্তিগত নয়—এটি বাংলাদেশের শিল্প, সততা, মানবিকতা ও ন্যায়ের প্রতি জনগণের আস্থার পুনরুদ্ধার। এই রায় আমাদের শেখায়, যে জাতি সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ায়, তার ভবিষ্যৎ কখনও অন্ধকার হয় না।
Leave a Reply