হাফিজুর রহমান:
বিএনপি নেতা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক রিপনুজ্জামানকে পাওনা টাকা দেওয়ার নামে পতিতা সর্দার, ইউপি সদস্য আওয়ামী, জাতীয় পার্টির দোসর আব্দুল কাদের ও তার কথিত স্ত্রী মক্ষী রানী রিমার মধুকুঞ্জ সাতক্ষীরার ভাড়া বাড়িতে ডেকে আটকিয়ে ভাড়া করা কল গার্লের সঙ্গে নগ্ন করে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারপিট, ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৭০ হাজার টাকা চাঁদা আদায়, জোরপূর্বক নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার ঘটনার দায়ের করা পর্নোগ্রাফি ও চাঁদাবাজি মামলা থেকে রেহাই পেতে বাদী, সাক্ষীদের নামে আদালতে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা দায়েরের পাঁয়তারা । গত রবিবার (৭ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলার সদর থানার আগরদাড়ী গ্রামের আব্দুল আজিজের কন্যা কল গার্ল ফাতেমা বেগমকে ভয় ভীতি এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাদি সাজিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে সাতক্ষীরার বিজ্ঞ নারী ও শিশু স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতে নারী ও শিশু আইন ২০০০ এর ৯ (১) ও ৪ (খ) ধারায় মামলা দাখিল করলেও এখনো কোনো আদেশ দেয়নি বিজ্ঞ আদালতের বিচারক। মামলায় আসামি করা হয়েছে গত ১ এপ্রিল সাতক্ষীরা কাটিয়া এলাকায় আশরাফ আলীর ভাড়া বাড়িতে ঘটে যাওয়া ঘটনায় গত ৫ এপ্রিল সাতক্ষীরা সদর থানায় দায়ের করা পর্নোগ্রাফি চাঁদাবাজি ,মারপিটের মামলার বাদী ভুক্তভোগী রিপনুজ্জামান রিপন সহ ঐ মামলার সাক্ষীদের আসামি করা হয়েছে। সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মুকুন্দ মধুসূদনপুর গ্রামের এলাহি বক্স গাজির পুত্র জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী দোসর সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম গোলাম রাজার একান্ত সচিব খ্যাত বহু বিবাহের নায়ক ইউ,পি সদস্য আবদুল কাদের এবং তার কথিত স্ত্রী একাধিক স্বামী বদলানো শারমিন আক্তার রিমাকে নিয়ে সাতক্ষীরা সদরে কাটিয়ায় আশরাফের ১তলা বাড়ি ভাড়া নিয়ে মধুকুঞ্জ গড়ে তোলে। ঐ ভাড়া বাড়ির মিনি পতিতালয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, পুলিশ কর্মকর্তা , সাংবাদিক, এবং ধনাঢ্য ব্যক্তি ব্যবসায়ী ও উড়তি বয়সের যুবকদের সঙ্গে প্রথমে ফোন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তার মধুকুঞ্জে নেওয়া হতো। এরপর সেখানে নিয়ে পূর্বে থেকে গোপনকে ক্যামেরা বা মোবাইল স্থাপন করে তাদের কল গার্লের সঙ্গে মেলামেশার ভিডিও গোপনে ধারণ করে ব্ল্যাকমেলিং করে মোটা অংকের টাকা আদায় করা হতো । এরকম ঘটনার ভুক্তভোগী অনেকেই এই প্রতিনিধিকে জানান লোক লজ্জায় এবং পরিবারের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে বা অভিযোগ করতে সাহস পেত না যে কারণে মোটা অংকের টাকা সময় অসময়ে তাদেরকে গর্চা দিতে হতো। আর এই কাজে বর্তমান সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি’র কয়েকজন নেতা, কথিত সাংবাদিক এবং কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে পার্টনার হিসেবে রেখে অনায়াসে কাজ চালিয়ে আসছিল। দোকানের বাকি সাড়ে ৫ হাজার টাকা পরিশোধের নাম করে ঈদের পরদিন অর্থাৎ ১ এপ্রিল বিকালে মক্ষ্মী রানী শারমিন আক্তার রিমা কালীগঞ্জের নাজিমগঞ্জ বাজারের চায়না বাংলা কসমেটিক্সের মালিক বিএনপি নেতা ,সাংবাদিক ব্যবসায়ী রিপনুজ্জামানকে টাকা দেওয়ার নাম করে তার ভাড়া বাসায় ডেকে নেয়। পূর্বে থেকে তার স্বামী আব্দুল কাদের এবং তার সাংগোপাঙ্গরা ওৎ পেতে বসে থাকে। বিকাল সাড়ে ৫ টায় ব্যবসায়ী রিপনুজ্জামান তার বাড়িতে যাওয়া মাত্র পূর্ব থেকে ঘরে থাকা কল গার্ল নগ্ন হয়ে তাকে ঝাপটে ধরে । ঐ সময়ে পতিতা সর্দারানী রিমা ও তার স্বামী আব্দুল কাদের ,বিএনপি নেতা বাবলু, কথিত সাংবাদিক ফজর আলী মিলে রিপনুজ্জামানকে উলঙ্গ করে বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত করে। বাধা দেওয়ায় তাকে বেধড়ক পিটিয়ে বেধে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে । সময় উপায়ান্তর না পেয়ে সে বাড়িতে বিকাশ/ এবং নগদের মাধ্যমে তাদেরকে ৭০ হাজার টাকা দেয়। এতেও মন না গলায ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে রাত ১০ টার দিকে তাকে মুক্তি দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম রিপনুজ্জামানকে সদর থানায় মামলা দায়ের করতে বলে। পরে রিপনুজ্জামান সুস্থ হয়ে গত ৫ এপ্রিল বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় পতিতা সর্দারণী শারমিন আক্তার রিমা ও তার কথিত স্বামী আবদুল কাদের সহ ৪ জনের নামে পর্নোগ্রাফি ,চাঁদাবাজি মারপিটের ঘটনায় ১ টি মামলা দায়ের করে । সাতক্ষীরা সদর থানার মামলা নং ৪ । বিষয়টি জানতে পেরে তাদের ভাড়াটিয়া ঐ কল গার্ল আগরদাড়ির আব্দুল আজিজ এর কন্যা ফাতেমা বেগমকে বাদী করে রিপনুজ্জামান সহ তার মামলার সাক্ষীদের নামে ১ টি ধর্ষণ মামলা বিজ্ঞ নারী শিশু স্পেশাল ট্রাইবুনাল সাতক্ষীরা আদালতে দাখিল করলেও বিচারক না থাকায় এখনো পর্যন্ত শুনানি বা কোন আদেশ হয়নি।
কে এই আব্দুল কাদের? লম্পট কাদের এর আগে থেকে বহু মেয়েকে বিয়ের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে সর্বনাশ করে এসেছে। কালীগঞ্জে মহৎপুরে সুশীলন অফিসে তারালী গ্রামের মিষ্টি নামে এক যুবতী চাকরি করতো। সেই সুবাদে তার সঙ্গে সম্পর্ক করে বিয়ে করার আশ্বাসে ২ বছর ভাড়া বাড়িতে রেখে স্বামী-স্ত্রীর মতন বসবাস করলেও তাকে বিয়ে করেনি এবং এই দুই বছরের মধ্যে তাকে দুইবার গর্ভপাত ঘটানো হয়। বিয়ে না করায় ওই ভুক্তভোগী যুবতী সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে লম্পট কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলাটি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার নিকট তদন্ত চলাকালীন বিয়ের শর্তে মীমাংসা করে পরে আর বিয়ে করেনি । মেয়েটি এখনো পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ছাড়াও সে একাধিক মেয়েকে সর্বনাশ করায় আশাশুনি দরগাহ পুর গ্রামে বিয়ে করতে যায়। ওই সময় এই সমস্ত ভুক্তভোগী নারীরা সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা করলে বিয়ে ফেলে ভো দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজুদ্দিনের হস্তক্ষেপে পরে হাতে পায়ে ধরে বিয়ে সম্পন্ন হয় ।এবং সেই ঘরে তার ৬/৭ বছরের বছরের ১ টি কন্যা সন্তান আছে ।
Leave a Reply