স্টাফ রির্পোটারঃ
গাজীপুর চৌরাস্তা ময়মনসিংহ রোড এর সামান্য কিছু সামনের দিকে এগোতেই ঠিক বাম হাতে রয়েছে বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার যেখানে বিক্রি করা হয় বিভিন্ন ধরনের শিশু খাবার থেকে শুরু করে বড়দের খাবার সহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের খাবার । এছাড়াও রয়েছে জন্মদিন কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের অর্ডারকৃত খাবার, যে সকল খাবারগুলোর গুণগত মান ঠিক নেই বলে জানান সাধারণ ক্রেতারা। গত ২৯-সেপ্টেম্বর-২০২৪ ইং তারিখে দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক উক্ত দোকান থেকে তার শিশু বাচ্চার জন্য একটি জন্মদিনের কেক ক্রয় করেন এবং দোকানে কর্মরত স্টাফদের তিনি বারবার বলেন এই কেকটি একজন শিশু বাচ্চা খাবে তাই একটু ভালো করে দেখে দেবেন প্লিজ। দোকানের স্টাফরা তাকে আশ্বস্ত করেন ভাই আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই আমাদের কেকগুলো সবই আজকের তৈরি কিন্তু বাস্তবতায় দেখা যায় তাদের কথা কাজের কোনই মিল নেই। তার বিশ্বাসের উপরই তাকে ধরিয়ে দেওয়া হয় নষ্ট কেক, যাহা কোন ভাবেই খাবার উপযুক্ত ছিল না।
তিনি বাসায় কেকটি নিয়ে যাওয়ার পর, কেকটি খাওয়ার সময়, উক্ত কেক থেকে অনেক দুর্গন্ধ বের হয় সাথে সাথে তিনি কেকটি নিয়ে বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার দোকান বরাবর উপস্থিত হন। সাথে আরও কয়েকজন সাংবাদিক তাৎক্ষণিক ওই দোকানে গেলে তারা কেকটি পরিবর্তন করে দিতে আশ্বস্ত হয়। তখন উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ উক্ত দোকানের আরো খাবার যাচাই করলে বেশ কিছু মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার দোকানে ডিসপ্লেতে সাজানো অবস্থায় দেখা যায়। যাহা ছবি এবং ভিডিও আকারে সংরক্ষণ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে শিশুদের খাবার দুধ, বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি চকলেট, লেক্সাস বিস্কুট, আরও কিছু নষ্ট জন্মদিনের কেক।
তাৎক্ষণিক তারা অনলাইনে থাকা সেনাবাহিনীর নাম্বারে যোগাযোগ করতে চাইলেও তাহা সম্ভব হয়ে ওঠেনি নিরুপায় হয়ে ভোক্তা অধিকারের অনলাইন নাম্বারে কল দিলে সেই নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া যায়। সবশেষে উক্ত দোকানের মালিকের সাথে যোগাযোগ করার নাম্বার চাইলে কর্তব্যরত ম্যানেজার জানান তার কাছে মালিকের নাম্বার নেই। সবশেষে উক্ত দোকানের মার্কেটের মালিকের নাম্বার গণমাধ্যম কর্মীদের দেওয়া হয়। মার্কেটের মালিকের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি তাদেরকে অবৈধ মালামাল বিক্রির জন্য দোকান ভাড়া দেয়নি আর এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তিনি আরো বলেন যেহেতু আপনাদের মাধ্যম থেকে বিষয়টি অবগত হয়েছি, সেহেতু আমি দোকান মালিককে বলে দিয়েছি ভবিষ্যতে যেন মেয়াদউত্তীর্ণ কোন মালামাল না পাই, এরকম অভিযোগ পুনরায় আসলে দোকান ছেড়ে দিতে হবে।
কিন্তু এখনও প্রতিনিয়তই চলছে তাদের এই অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রির রমরমা ব্যবসা। তাই উক্ত এলাকার ভোক্তা অধিকার, ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রশাসনের সুদৃষ্টি এবং হস্তক্ষেপ কামনা করা হচ্ছে। যেন এই অস্বাস্থ্যকর খাবারের হাত থেকে উক্ত এলাকার শিশু, বৃদ্ধ, যুবক এবং অসুস্থ রোগীগুলো এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের হিংস্র থাবা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারেন। উক্ত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য প্রশাসনের সকল ধরনের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।
Leave a Reply