সোহাগ কাজী – মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি:
কালকিনি, (মাদারীপুর),১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫:
আজ মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার এনায়েত নগর ইউনিয়ন ও আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে গ্রাম আদালত বিষয়ক জন সচেতনতামূলক র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য ছিল ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রাম আদালত সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা ও গ্রাম আদালত সম্পর্কে ধারনা নেওয়া।
র্যালিটি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর পরিষদ কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় উক্ত রেলিতে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলার স্হানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক উপসচিব জনাব মুহাম্মদ হাবিবুল আলম।স্হানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক বলেন নিয়মিত এজলাসে বসে গ্রাম আদালত পরিচালনা করতে হবে।মামলার আবেদন এবং নিষ্পত্তি বাড়াতে হবে প্রতিটি ইউনিয়নে অন্তত পাঁচ টি করে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনায়েত নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম এবং আলীনগর ইউনিয়নে সভাপতিত্ব করেন প্যানেল চেয়ারম্যান জনাব কাউছার হোসেন এবং আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আ: মান্নান মিয়া, হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, ইউনিয়ন পরিষদের নারী ও পুরুষ সদস্যবৃন্দ, গ্রাম পুলিশ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের ডাসার ও কালকিনি উপজেলা কো-অর্ডিনেটর নাসির উদ্দিন লিটন। তিনি র্যালিতে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম, গুরুত্ব ও প্রচলিত আইনি কাঠামো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সভায় এনায়েত নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, “গ্রাম আদালত অনধিক তিন লক্ষ টাকা মূল্যমানের দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে। তাই আমাদের উচিত থানা বা আদালতে না গিয়ে প্রথমেই ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সমাধান খোঁজা,যাতে সাধারণ মানুষ গ্রাম আদালতে এসে সহজে ন্যায়বিচার পায়।”
অপরদিকে আলী নগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বলেন প্রতিটি এলাকায় গ্রাম আদালত সম্পর্কে সাধারণ জনগনকে ধারণা দিতে হবে এবং গ্রাম আদালতের সেবা সম্পর্কে মানুষ যেন জানতে পারে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত অনধিক তিনলক্ষ টাকা পযন্ত দেওয়ানী ও ফৌজদারি বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে।
স্হানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক উপসচিব বলেন
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে গ্রাম আদালত বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে, যাতে করে সাধারণ মানুষ এই ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত হয় এবং এর সুফল নিতে পারে।
এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের আইনি সচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে সকলেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
Leave a Reply