বায়েজিদ হোসেনঃ
বগুড়া শেরপুর থানার মামলা নং-১২, গত শনিবার ৮ মার্চ, ধারা-৯(১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩; তৎসহ ৮ (১)/৮ (২)/৮(৩) পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২;
মামলার বাদীনি মোছাঃ আরজিনা খাতুন শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ী ইউপির ধনকুন্ডি গ্রামে ওমেরা গ্যাস কোম্পানির লোকদের বাদীনির বাড়ীতে রান্না করিয়া দিত। আসামী মোঃ তাজুল ইসলাম (৪৬) উক্ত গ্যাস কোম্পানীতে কাজ করিতো। সেই সুবাদে উক্ত আসামী বাদীনির বাড়ীতে আসিয়া খাবার নিয়া যাইতো। বাদীনির মেয়ে ভিকটিম মোছাঃ ইশিতা খাতুন শেরপুর ধনকুন্ডি শাহানাজ সিরাজ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। তাজুল ইসলাম ভিকটিমকে বিবাহ করিবে বলিয়া বিভিন্ন ভাবে ফুসলাইয়া তাহার সহিত প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়া তোলে। উক্ত সম্পর্কের একপর্যায়ে ভিকটিমকে ফুসলাইয়া গত ২৬/০৮/২০২৪ ভিকটিমের শয়ন ঘরের ভিতরে ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। উক্ত ধর্ষণের ঘটনা ভিকটিমের অগচরে মামলার এজাহার নামীয় ২নং আসামী মোঃ সুজন (২০) তাহার মোবাইল ফোনে ভিডিও করে। গত ০৫/০৯/২০২৪ তারিখে বাদীনি বাড়ীতে না থাকার সুযোগে ২নং আসামী মোঃ সুজন ভিকটিমের শয়ন ঘরে প্রবেশ করিয়া ভিকটিমের অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করিয়া দিবে বলিয়া ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে উক্ত আসামী তাহার মোবাইল ফোনে ধারনকৃত ভিকটিমের অশ্লীল ভিডিও তাহার ফেসবুক আইডি হইতে মামলার এজাহার নামীয় ৩ হইতে ৫নং আসামীকে প্রদান করিলে উল্লেখিত আসামীরা বাদীনির নিকট থেকে টাকা দাবী করিয়া বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে বাদীনির এজাহারের প্রেক্ষিতে সূত্রে বর্ণিত মামলা রুজু করা হয় এবং মামলাটির তদন্তভার এসআই/মোঃ আনোয়ার হোসেন, শেরপুর থানা, বগুড়া এর উপর অর্পন করা হয়। মামলার এজাহারনামীয় ২নং আসামী মোঃ সুজনকে ইং-০৯/০৩/২০২৫ তারিখে শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ী ইউপির অন্তর্গত ধনকুন্ডি সাকিনস্থ তাহার নিজ বসত বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং উক্ত আসামীর হেফাজত হতে ভিকটিমের অশ্লীল ভিডিও ধারনকৃত একটি পুরাতন ব্যবহৃত কালো রংয়ের ঙচচঙ মোবাইল ফোন উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হইয়াছে এবং ভিকটিমের ধর্ষণ পরীক্ষা ও ২২ ধারার জবানবন্দি গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট স্থানে প্রেরণ করা হয়।
Leave a Reply