নাসের আবু খালেদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নূর হোসেন (১৯৬১ – ১০ নভেম্বর ১৯৮৭) বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব, যিনি ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংগঠিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি ইতিহাস রচিত করেছেন। কোন জনগোষ্ঠীর মাত্র ৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ যদি গণবিক্ষোভে যোগ দেন, তাতেই তারা সফল হতে পারেন।
সেই সৈরাচার আবার বাংলাদেশের জন্ম নিয়েছে আবার সৈরাচার নিপাত যাক মুক্তির দাবীতে গত জুলাইয়ে শুরু হয় গণঅভ্যুত্থান সৈরাচার বিরুদ্ধে দাবী তুলে ছাত্র জনতা তখন সৈরাচারী আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা চলে ছাত্রদের উপর আর তখন সাধারণ জনতার ছাত্রদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে আন্দোলন কঠোর করে রাস্তায় নামে ছাত্ররা তাদের গুলি করে হত্যা করে। আবু সাঈদ (২০০১ – ১৬ জুলাই ২০২৪) ছিলেন একজন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ও ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সক্রিয়কর্মী। তিনি এই আন্দোলনের রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সমন্বয়ক ছিলেন। ১৬ই জুলাই আন্দোলন চলাকালে একজন পুলিশ সদস্যের গুলিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আর তার শহীদ হওয়ার মাঝে বাংলাদেশ পায় নতুন ২৪ স্বাধীন দেশ এর মত হাজার শহীদ হন ২৪ এর সৈরাচার নিপাত যাক মুক্তির দাবীতে।
বার বার সেই সৈরাচারী এবং তাদের দোসরা বাংলাদেশের মাটিতে তাদের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে কখনো অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে কখনো সোশাল মিডিয়ায় লেখনীর মাধ্যমে। বাংলার জনগণ কে অবশ্য মনে রাখতে হবে এই স্বাধীন বাংলা আবার স্বাধীন করলাম আমরা কোন উগ্রবাদী ইসকন, সাহাবাগী,নয় কোন সৈরাচারীর জন্য এই বাংলা কোন দিন ঠাই হবে না তাদের। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা এটাও স্পষ্ট করেছেন যে, ছাত্র-নাগরিকের সমর্থিত সরকার ছাড়া সামরিক কিংবা অন্য কোনো ধরনের সরকারকে সমর্থন দেবেন না তারা।
“ আন্দলোনের ছাত্ররা বলে আমরা রক্ত দিয়েছি, শহীদ হয়েছি। আমাদের যে প্রতিশ্রুতি একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করার জন্য, সেটিকে আমাদের অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে এবং অবশ্যই ছাত্র জনতার প্রস্তাবিত সরকার এর মাধ্যমে একটি সঠিক নির্বাচন এর মাধ্যমে সরকার গঠন করা হবে।
Leave a Reply