এম এস রহমানঃ
ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ব্যক্তিরাই মামলা হামলা শিকার হয়ে বিগত দিনে জীবন যাপন করেছেন, এখন তারাই ছিটকে পড়ে আছেন।
বর্তমানে তাদের বাড়িঘর জবর দখল করেন এমনকি পুনরায় মামলার ভয়-ভীতি দেখিয়ে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী।
অভিযোগ পাওয়া গেছে কাপাসিয়া উপজেলার ৭ নং করিহাতা ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে, এমনটাই দাবি করেন ইউনিয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রহিম
তিনি আরো বলেন আমরা বহুবার বহু জায়গায় দাপ্তরিক বিচার চেয়েও কোন বিচার পাইনি তাই মানববন্ধন করতে বাধ্য হয়েছি শুধু আমি নই গ্রামবাসী মানববন্ধন করেছেন ৩১ শে জানুয়ারি রোজ শুক্রবার দিঘিরকান্দা চৌরাস্তায় স্বতঃস্পূর্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ,যে চিত্র দেখা গেছে কয়েকটি মিডিয়া পত্রপত্রিকায়।
এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন থানা ও উপজেলা বিএনপি নেতাদের কাছে।
অভিযোগে লিখেছেন বিগত ফেসিশ সরকারের সভা জনসভায় উপস্থিত থেকে তারা প্রতিনিয়ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন, ঐসময় তাদের বিএনপি’র একটি সম্মানীয় পদে ছিলেন কিন্তু স্বার্থসিদ্ধি হাসিলের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের প্রদানিত হয়ে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেন এমনকি ৫ ই আগস্ট এর আগে তাদের ত্রাসের চরিত্রে গ্রামে দেখা গেছে । এমনকি ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য চরিত্র ছিল তাদের।
আজ তারা পুনরায় বিএনপি’র পদ দখল করে ঠিক আগের মতই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন তাদের অতিষ্ঠতা সহ্য করতে না পেরে গ্রামবাসী ৩১ শে জানুয়ারি গণস্বাক্ষর পালিত করে ।
মানববন্ধন কর্মসূচিও করেছেন সুষ্ঠ সমাজ ফিরিয়ে আনার জন্য।
বিএনপির সম্মান অক্ষুন্ন রাখার প্রচেষ্টায় গ্রামবাসী আবেদন করেছেন উপজেলা বিএনপি সভাপতির কাছে দপ্তরিক বিচারের আশায়।
কিন্তু এর প্রতিকার আজও মেলেনি এমনটাই দাবি করেছেন গ্রামের মানুষ।
গ্রামের মানুষ তাদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
(চিত্র তুলে ধরা হলো)
গত ছয়ই মার্চ একটি অভিযোগ পত্র জমা দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর সেখানে অভিযোগ করেছেন কাপাসিয়া উপজেলার ৭ নং পরিহাতা ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বেলায়েত হোসেন ও উপজেলা বিএনপি আইন বিষয়ক সহ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন এবং মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন তারা তিন ভাই তাদের তত্ত্বাবধানে এলাকাতে চাঁদাবাজি জমি দখল মাদক ব্যবসা ইত্যাদি পরিচালনা করছে তাদের কথা না শুনলে মেরে ফেলার হুমকি ও মামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন তাদের ভয় এলাকার লোকজন প্রকাশ্যে কোন কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না অত্র এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তাদের সকল বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী একত্রিশে জানুয়ারি মানববন্ধন করেছিলেন তার শত্রুতার জেরে ভিন্ন রূপে হয়রানিও করেছেন অনেক কে এমনকি মৃত্যুর ভয় পর্যন্ত দেখিয়েছেন ।
আরেকটি অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি বরাবর উল্লেখযোগ্য নাম পরিচয় দিয়ে।
মোঃ বাদল মিয়া পিতা-মৃত ফয়েজ উদ্দিন গ্রাম পেছুরিয়া ১ নং ওয়ার্ড খরিহাতা ইউনিয়ন সে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২ নং ওয়ার্ড তরুণ সরকারি বিদ্যালয় মাঠে সিমেন্ট হোসেন রিমি এমপির জন্য সবাই আওয়ামী লীগে যোগদান করেন সে পূর্বে এক নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল সে আওয়ামী লীগ যোগদানের সময় বিএনপি ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম শেখ তরুণ হোয়াট যুব দলের সাধারণ সম্পাদক সানাউল্লাহ ডাক্তার ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম এবং তরুণ গ্রামের মোঃ বাদল প্রত্যক্ষ সাক্ষী সে ওই সময়ে আওয়ামী লীগের কিছু সন্ত্রাসী আলম চেয়ারম্যান কাপাসিয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান এবং এক নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি রুবেলের সাথে বিভিন্ন এলাকায় জমি দখল কাঠ বাগান বারজার দখল সহ বিভিন্ন চাঁদাবাজি করে বিএনপির উপর অনেক জুলুম নির্যাতন করেছেন বর্তমানে সে বিএনপির নেতা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করছে এমনটাই লিখিত অভিযোগ উপজেলা বিএনপি সভাপতির কাছে প্রদান করেন ।
দাপ্তরিক কোনো সুবিচার না পাওয়ায় তারা মানববন্ধন কর্মসূচি দিয়ে গণমাধ্যমকে জাগ্রত করেছিলেন ঠিক আগের চিত্র এখনও বিরাজমান
এমনটাই অভিযোগ ।
এলাকায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি জমি দখল ভূমিধস্য তার বিরুদ্ধে তারা রুখে দাঁড়ালেও দপ্তরে কোন প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় নির্বাক হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসী।
Leave a Reply