1. mahamudreja02@gmail.com : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  2. presssoliman06@gmail.com : naim :
  3. dailynewsbangla756@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ডেইলি নিউজ বাংলা ২৪ এ সারাদেশে জেলা ও উপজেলা, ক্যাম্পাস, ব্যুরো প্রধান  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যোগাযোগঃ-01606638418,+6585413954।
শিরোনাম
বিএনপির সেক্রেটারির ভাতিজা পরিচয় দিয়েও শেষ রক্ষা হলোনা,নিষিদ্ধ  ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার যশোর জেলায় ট্রেনিং রিক্রুট কনস্টেবল(টিআরসি)পদে সম্পূর্ণ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বিশেষ ব্রিফিং সভা অনুষ্ঠিত নওগাঁয় মানবিক বাংলাদেশ শীর্ষক বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত দিনাজপুরে কারিগরি শিক্ষার্থীদের কাফনের কাপড় পরে মিছিল শহীদ জসিম উদ্দিনের পরিবারের জন্য নির্মিত ঘর উদ্বোধন যাত্রী ভোগান্তি কমাতে কপোতাক্ষ ফেরি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ইহুদি কর্তৃক গাজায় গনহত্যার প্রতিবাদে বেকড়া  বিক্ষোভ মিছিল বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতার বর্ষপূর্তি ও জাতীয় দিবস উদযাপনের জন্য কুয়েতে জমকালো আয়োজন যাত্রী ভোগান্তি কমাতে কপোতাক্ষ ফেরি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় নাগরপুরে বিপুল পরিমাণের মাদক সহ কারবারি গ্রেফতার

শেষ প্রহরে এক নিঃসঙ্গ আত্মার চিরকালীন যাত্রা

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫
  • ৩৫ বার

 

✍ লেখক জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান

রাতের গভীরতা তখনও পুরোপুরি কাটেনি। আকাশের কোণে শেষ রাতের চাঁদ ম্লান আলো ছড়িয়ে রেখেছে। ফজরের আজান ভেসে আসছে দূর থেকে, কিন্তু আজ আমার ঘুম ভাঙছে না। চারপাশ নিস্তব্ধ, বাতাসে এক অদ্ভুত শূন্যতা।
মা এলেন, নরম হাতে আমার কপালে হাত রাখলেন। প্রতিদিনের মতো মিষ্টি কণ্ঠে ডাকলেন, “বাবা, ফজরের সময় হয়ে গেছে, উঠো!”
কোনো সাড়া নেই।
তারপর মুহূর্তেই বদলে গেল পরিবেশ। মায়ের অস্থির চিৎকারে কেঁপে উঠলো পুরো ঘর। বাবা দৌড়ে এলেন, আমার নিথর দেহ দেখে তার শক্ত হৃদয়ও যেন ভেঙে টুকরো হয়ে গেল। ছোট বোনটা এল, আমার হাত ধরে ফিসফিস করে বলল, “ভাইয়া, একটু চোখ খুলে তাকাও, না! দেখো, আমি কাঁদছি…”
আমি সব শুনতে পাচ্ছিলাম, দেখতে পাচ্ছিলাম, কিন্তু কোনো উত্তর দিতে পারছিলাম না।
পরিবারের কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে উঠলো। আত্মীয়-স্বজন ছুটে এলেন, কেউ মাথা নিচু করে ফুঁপিয়ে কাঁদছিল, কেউ চিৎকার করে বিলাপ করছিল।
তারপর আমাকে বিছানা থেকে শক্ত কাঠের খাটিয়ায় শুইয়ে দেওয়া হলো। আমার চেনা নরম বালিশ আর কম্বলের জায়গায় আজ কাঠের কঠিন স্পর্শ। গরম পানি আনা হলো, কয়েকজন আমার নিথর শরীরে পানি ঢালতে লাগলো।
আমি চিৎকার করে বলতে চাইলাম, “না! আমার শরীর পুড়ে যাচ্ছে! থামো!”
কিন্তু কেউ শুনলো না।
তারপর আমাকে সাদা কাফনের কাপড়ে মুড়িয়ে ফেলা হলো। বাবা আমার মুখে হাত বুলিয়ে ফিসফিস করে বললেন, “বাবা, এত চুপ কেন? একবার শুধু বলো, তুমি ভালো আছো…”
কিন্তু আমি তখনও নির্বাক।
জানাজার জন্য আমাকে নিয়ে যাওয়া হলো। মা খাটিয়া আঁকড়ে ধরে কাঁদছিলেন, “আমার ছেলেকে নিয়ে যেও না! ও তো কিছুক্ষণ আগেও আমার সঙ্গে ছিল!”
কিন্তু তাকে সরিয়ে দেওয়া হলো। বাবা দাঁড়িয়ে ছিলেন নিশ্চুপ, দুই চোখ বেয়ে নেমে আসা অশ্রু গোপন করার ব্যর্থ চেষ্টা করছিলেন।
তারপর আমাকে নিয়ে যাওয়া হলো সেই ছোট্ট, নিঃসঙ্গ গহ্বরে—আমার চিরস্থায়ী ঠিকানায়।
আমি আতঙ্কিত হয়ে উঠলাম। চিৎকার করে বলতে চাইলাম, “না! আমাকে এখানে রেখো না! আমি একা থাকতে পারবো না!”
কিন্তু কেউ শুনলো না।
বাবা, চাচারা কবরে নেমে এলেন। আমাকে দু’হাত দিয়ে মাটির গভীরে শুইয়ে দিলেন। চারপাশের অন্ধকার যেন আমাকে গ্রাস করে নিচ্ছে। আমি কেঁপে উঠলাম, বলতে চাইলাম, “বাবা, আমাকে এখানে রেখো না! আমি তোমাদের সঙ্গে যেতে চাই!”
কিন্তু কেউ শুনলো না।
তারপর কাঠের তক্তা দিয়ে আমার উপর ঢেকে দেওয়া হলো। ধীরে ধীরে মাটির স্তূপ উঁচু হতে লাগলো। আলো কমে আসছিল, নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসছিল। আমি হাত বাড়িয়ে দেখতে চাইলাম, কেউ আছে কি না, কিন্তু চারপাশে শুধু নিঃসীম অন্ধকার।
আমি শেষবারের মতো চিৎকার করে উঠলাম, “তোমরা কোথায় যাচ্ছো? আমাকে একা রেখে যেও না! আমি ভয় পাচ্ছি!”
কিন্তু সবাই চলে গেলো।
শুধু আমি পড়ে রইলাম নিঃসঙ্গ, একা। তখন আমার পাশে ছিল না মা-বাবা, না বন্ধু, না প্রিয়জন, না পৃথিবীর কোনো সান্ত্বনা। শুধু আমার আমলগুলো রয়ে গেলো সঙ্গী হয়ে।
হে আমার রব, সেদিন আমাকে একা রেখো না…

লেখক, শিক্ষার্থী, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, কায়রো,মিশর।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Archive Calendar

এপ্রিল ২০২৫
সোম মঙ্গল বুধ বৃহঃ শুক্র শনি রবি
« মার্চ    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
 

©All rights reserved © Daily newsbangla24.