দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি:
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীরগঞ্জে লিচুগাছে প্রচুর গুটি ধরেছে। গাছ ভর্তি থোকা থোকা ছোট লিচু দেখে বাগান মালিকরা বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন। এখন চলছে পরিচর্যার ব্যস্ততা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চায়না থ্রি, বেদেনা, বোম্বে ও মাদ্রাজি জাতের লিচুর চাষ বেশি হয়। সুস্বাদু হওয়ায় এসব জাতের লিচুর চাহিদা দেশজুড়ে।কল্যাণী চৌধুরী হাট এলাকার বাগানমালিক মাসুদুর রহমান বলেন, এ বছর লিচুগাছে প্রচুর গুটি এসেছে। এমন দৃশ্য গত কয়েক বছরেও দেখা যায়নি। বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালো ফলনের আশা করছি। একই এলাকার আরেক বাগানমালিক কামাল হোসেন বলেন, ‘লিচুর গুটি দেখে আমরা অনেক আশাবাদী। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং রোগবালাই না লাগলে এবার ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি। দাম ভালো থাকলে লাভবানও হব।’
বাগানগুলোতে ইতোমধ্যে পরিচর্যার কাজ শুরু হয়েছে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে অনেক মানুষের। বীরগঞ্জ পৌর শহরের মাকড়াই গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ূন আহমেদ বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লিচুগাছ পরিচর্যার কাজ করি। এতে প্রতিদিন ৭০০ টাকা আয় হয়।’বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি অফিসার মো: শরিফুল ইসলাম বলেন, বীরগঞ্জে আবহাওয়া লিচুর জন্য উপযোগী হওয়ায় প্রতিবছরই এখানে চাষ বাড়ছে। এ বছর ১৭১ হেক্টর জমিতে ৩৪৫টি লিচু বাগান রয়েছে।
কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গুটি ঠিকমতো বড় হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর উপজেলায় প্রায় ১৭ হাজার মেট্রিক টন লিচু উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।’
Leave a Reply