প্রসেনজিৎ চন্দ্র শর্মা দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি
আর মাত্র একদিন পরই বাঙালিদের পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার গ্রামঞ্চলের ছোট কিংবা বড় মেলাসহ নানান উৎসব অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। আর এসব অনুষ্ঠানকে ঘিরে মাটির তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা। উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের পালপাড়া নামে পরিচিত এলাকায় দেখা যায়,মেলায় ব্যবসা করতে পণ্য তৈরিতে রাতদিন কাজ করে চলেছেন মৃৎশিল্পীরা।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ির আঙ্গিনায় মাটির তৈরি জিনিসগুলো রোদে শুকানোর পর আগুনে পুড়িয়ে নিপুণ তুলির আঁচড়ে বাহারি রঙে রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে। তার বলছেন, মাটির তৈরি পুতুল, হাতি, ঘোড়া, ময়ূর, কবুতর, মোরগ, দোয়েলপাখি, মাছ, হাঁড়ি, বাটি, মাটির ব্যাংক,দইয়ের খুটি/বাটিসহ ঐতিহ্যবাহী মাটির গয়না প্রভৃতি চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। তাই ব্যস্ত সময় করতে হচ্ছে তাদের।
চৈত্রের শেষে এখন চলছে তাদের শেষ সময়ের কাজ। কেউ মাটির তৈরি জিনিসপত্র পুড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনেকে রং করছে,কোনো কোনো বাড়িতে এখনো নিপুণ হাতে কাঁচা মাটির সমগ্রী তৈরি করা হচ্ছে। সরজমিনে পালপাড়ার মৃৎশিল্পী চৈতন্য পাল( ৫৫) বলেন,রঙ দিয়ে এবং বিভিন্ন কারুকাজ করে আমরা এ মাটির তৈরি তৈজসপত্র ও খেলনা তৈরি করি। তবে এই সময়ে আমাদের ব্যস্ততা একটু বেড়ে যায়।
তিনি মনে করেন, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী এসব পণ্যের বেচাকেনা বাড়লে বছরের লোকসান কাটিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। একই এলাকার সন্ধ্যা রানী পাল,স্বপনা রানী,প্রফুল্ল পাল,বিকাশ পাল,নিবার্ণ পাল ও তাপস পালসহ ২০/২৫ জন মৃৎশিল্পীরা তাদের তৈরি জিনিসগুলো পহেলা বৈশাখের মেলাসহ এলাকার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে থাকেন। যদিও প্লাস্টিকের পণ্য বাজার দখল করে নেওয়ায় মাটির তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা কমে গেছে। তারপরও বাপ-দাদার এ পেশাকে এখনো ধরে রেখেছেন তারা। পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রশিক্ষণ পেলে এই শিল্পীকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন মৃৎশিল্পীরা।
01309545466
Leave a Reply