ডেস্ক রিপোর্টঃ
টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানাধীন দড়ি সয়া গ্রামের সাংবাদিক রেজাউল করিমের বাড়িতে বিএনপির সন্ত্রাসীরা হামলা করে বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাংচুর করা সহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। সাংবাদিক রেজাউল করিম প্রচারিত বাংলাদেশ জাতীয় দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন পত্রিকার গোপালপুর থানার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছেন। গত ইং ৫/৮/২০২৪ তারিখ অনুমান রাত্রি ৯ ঘটিকার সময় বিএনপির সন্ত্রাস বাহিনীর একদল সাংবাদিক রেজাউল করিমের বাড়িতে হামলা করে বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাংচুর সহ লুটপাট করে প্রায় ৪/৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি করে নিয়ে যায়।
এবং একই সাথে বিএনপির সন্ত্রাসীরা ৫ লক্ষ টাকা চাঁদাসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনার পরে সাংবাদিক রেজাউল করিমের স্ত্রী মোছাঃ লাকী আক্তার বাদী হয়ে বিএনপি সন্ত্রাস বাহিনীর উপর কিছু নাম ১. সুরুজ্জামান সুরুজ ২. রফিক ৩. ফজলুল হক সর্বপিতা আব্দুর রহমান ৪. আঃ লতিফ ঠান্ডু পিতা মৃত হযরত আলী ৫. আলিম ৬.সুরুজ্জামান ৭. বাবলু সর্বপিতা মৃত আঃ সামাদ ৮.সোহেল ৯.বাবলু ১০.জুয়েল সর্বপিতা মৃত সোহরাব হোসেন তুলা ১১.নুরনবী পিতা মোঃ জামাল উদ্দিন ১২. খোকন পিতা মৃত সোহরাব আলী ১৩.অলক পিতা মোঃ বারেক সহ আরো অজ্ঞাত নামা ২০/৩০ জন দিয়ে গোপালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হেমনগর তদন্ত কেন্দ্রের এস আই নিরঞ্জন এর কাছে অর্পণ করেন। এস আই নিরঞ্জন অভিযোগ পত্র পেয়ে তাহার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনার স্হলে গিয়ে পরিদর্শন করেন এবং তাহার ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে ভিডিও সহ কিছু ছবি তুলে।পরে ঘটনার বিষয়ে উপস্হিত এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া তাহাদের কাছ থেকে স্বাক্ষীর জন্য স্বাক্ষর নেন এবং খচড়া ও মানচিত্র অংকন করে তদন্ত শেষ করে চলিয়া যায়।
তার কিছুদিন পর মামলার বিষয় বাদীর স্বামী সাংবাদিক রেজাউল করিম হেমনগর তদন্ত কেন্দ্রের এস আই নিরঞ্জনকে মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলেন ঘটনার বিষয় সত্যতা থাকলেও আমি মামলা রুজু করিতে পারব না।সাংবাদিক কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন বিবাদীরা আমাকে মামলা রুজু করতে নিষেধ করছেন এবং আরোও বলেছেন আমি যদি মামলা রুজু করি তাহলে আমাকে হেমনগর তদন্ত কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা সহ প্রাণনাশের হুমকি।
এরপর থেকে বিএনপির কুখ্যাত সন্ত্রাসীরা এলাকায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বুক ফুলিয়ে ঘোরাফেরা করিতেছেন। এছাড়া ভুক্তভোগী আরো জানান যে,এই বিএনপির সন্ত্রাসীরা ঝাওয়াইল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় আমি ছাড়াও অন্যান্য অসহায় নিরহ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের গরু,ছাগল,হাঁস মুরগী মটর সাইকেল মিথ্যা মামলা সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করিয়া আসিতেছেন।এদের ভয়ে এলাকাবাসীর কিছু লোকজন চাঁদা দিতে না পারায় তাহাদের বসত বাড়িঘর ছাড়া হয়ে অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করিতেছেন।
এই বিএনপির সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকাবাসী মুখ খুলতে নেই। তাই ভুক্তভোগী সহ এলাকাবাসী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সহ অন্যান্য উর্ধতম প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে এই বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করতে সন্ত্রাসীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
Leave a Reply