আবু ইউসুফ সোহাগ- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদের সাবেক ইমাম ও রাজনীতিবিদ আল্লামা আতহার আলী রহ: কে নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি চেয়ারপার্সের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান এর কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য এবং কটুক্তির প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৪ মার্চ ২০২৫ইং শুক্রবার, বাদ জুমা ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদ চত্বরে আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও কিশোরগঞ্জের তাওহীদি জনতার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়, সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কে এম নিজাম উদ্দিন, মাওলানা মাজহার শাহ, প্রাক্তন ছাত্র মাওলানা জুনায়েদ আহমেদ, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ সহ আরো অনেকে।
পরে মিছিলটি পুরানথানা শহীদি মসজিদ থেকে শুরু হয়ে কালীবাড়ি মোড়, আখরা বাজার ব্রিজ, ইশা খা সরক , গৌরাঙ্গ বাজার ব্রিজ দিয়ে শহীদি মসজিদে এসে শেষ হয়। মিছিলে স্লোগান তুলে ফ্যাসিস্টের দুসররা -হুশিয়ার সাবধান, তুমি কে? আমি কে? আতহার আলী, আতহার আলী, এক আতহার আলী কবর দেশে —লক্ষ আতহার আলী বাংলাদেশে, হাসিনা গেছে যেই পথে ফজলু যাবে সেই পথে,আমার সোনার বাংলায় ফজলু মিয়ার ঠাই নাই,ফজলুর দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, লেগেছেরে লেগেছে। রক্তে আগুন লেগেছে, কিশোরগঞ্জের মাটি- আতহার আলীর ঘাটি, ফজলু তুমি কুয়ার ব্যঙ – নাচতে তোলে ভাংবে টেং এসব স্লোগানে, স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে শহর।
উল্লেখ ; উপমহাদেশের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ছিলেন মাওলানা আতহার আলী রহ. তিনি (১৮৯১ – ৬ অক্টোবর ১৯৭৬) পর্যন্ত ছিলেন একজন বাঙালি ইসলামি চিন্তাবিদ, রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য। তৎকালীন পাকিস্তানের নেজামে ইসলাম পার্টির সাবেক সভাপতি। তার নেতৃত্বে নেজামে ইসলাম ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদে তিনিসহ ৪টি জাতীয় পরিষদে ৩৬ আসন লাভ করে। তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন এবং আইয়ুব খান বিরোধী আন্দোলন ছাড়াও তিনি প্রতিটি জাতীয় সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করেন। পাকিস্তানের উভয় অংশ থেকে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপনকারী প্রথম রাজনৈতিক ব্যক্তি আতহার আলী।
Leave a Reply