মো. রফিক ভূঁইয়া খোকা
এইখানে 'ফেলানীর' লাশ!
পড়ে আছে সীমান্তের কাঁটাতারের পাশ।
প্রতিবেশী 'ভারতের' কাছে ছিল তার বাস
অবশেষে তাই হলো তার সর্বনাশ।
এইভাবে মোদের কত সীমান্তবাসী
হচ্ছে তব সর্বগ্রাসী!
আয়, দোয়া কর সেসবের লাগি,
'ফেলানীর' মতো মৃত্যু আর না দেখি।
এইখানে ঘুমায় বিশ্বজিৎ!
কে জানত কিঞ্চিত,
হরতাল দিবসে বাজবে তার মৃত্যুবীণ।
প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার
পথিক হয়েও পেল না সে নিস্তার।
আয়, ভালো করে শোন আবার,
আজও গেল না তার মায়ের চিৎকার।
দোয়া কর, এরূপ যেন না হয় আর।
'মিরসরাই' এর ঘটনা জানে সবাই,
স্কুল পড়ুয়া ছেলেরা খেলতে গিয়েছিল ভাই।
মরণ যে ছিল গাড়িতে তাদেরই
কে জানতো তাই?
কী যে যাতনা! বিষম ব্যথায়
কেঁদে ফিরে বারবার 'মিরসরাই'।
কত প্রাণ যাবে সড়ক দুর্ঘটনায়,
আজও হলো না সেসবের কোনো উপায়।
এইখানে ঘুমায় সাগর - রুনি!
কারা যে নিল তাঁদের প্রাণ কাড়ি,
অনেকদিন হয় বুঝি -
সাংবাদিকতা করত মানুষের লাগি,
তাঁদেরই তরে আজ শেষ হয় কলমের কালি।
ছোট্ট শিশুটি তাঁদের ঘুরে ফিরে এ বাড়ি সে বাড়ি,
এতিম-অসহায় হয়ে ন্যায় বিচার পেল না তারি।
চুপ কর, শব্দ করিস না বেশি,
তোকেও করবে খুন মানুষরুপী খুনি।
এইখানে ঘুমায় আমার প্রতিবেশী ফাতেমা!
সোনার মতন গা খানি তার বড়ই মায়াবী চেহারা,
স্কুলেতে পড়ত সে, করত পড়ালেখা।
পাড়ার আবাল-বৃদ্ধ সবাই ভালোবাসতো তাকে মেলা।
সেদিন ভর দুপুরে গ্রামে পরল এক সাড়া,
কী জানি কী দোষে তারে করল সর্বনাশ কারা!
জৈবিক বাসনার ছলে তার প্রাণ নিল যে তারা,
নিথর দেহ তার পড়ে রয়েছে সকলে দিশাহারা।
এমনি করে কত যে মরণ কারও নেই জানা।
দোয়া কর -
মানুষ হয়ে বাঁচা থাকে যেন সকলের আশা।
এইখানে পড়ে আছে জাহিদের লাশ!
কলেজেতে পড়তো সে, থাকত বাড়ির কাছ।
বিনা দোষে পুলিশ তাকে দিল কারাবাস।
অবশেষে নির্যাতনে বাছারে করল যে প্রাণনাশ,
সন্ত্রাস বলে ঢাকল সে বিনাশ।
পাড়ার সকলে করে রোনাজারি বারবার,
কবরের পাশে পড়ে রইল কত ভালো কাজ তার।
আহারে! কী মরণ দেখবি আয়,
দখলি জমিতে নির্মিত 'রানা প্লাজায়'।
অবৈধ জমিতে কোটি টাকা কামাইয়ের নেশায়
গড়ে তুলেছে গার্মেন্টস শিল্প সেথায়।
ছুটির দিনেও কর্ম বিরতি না থাকায়
কত শত শ্রমিক ছিল সেদিন কর্মব্যস্ততায়।
কে জানত সেদিন মরণ আঘাত এসে দাঁড়ায়।
উপরতলা ভেঙ্গে পড়ল নিচ তলায়,
নিচতলা যে গেল মাটির তলায়।
কত প্রাণ আজ মাটিতে লুটায়,
স্বজনহারা প্রাণ আজও কেঁদে ফিরে সে যাতনায়।
এইখানে ঘুমায় 'ঐশীর' বাপ-মা!
কবর দেশেতে ঘুমিয়ে আছে তারা,
কথা বলিস না তোরা।
অতি আদুরে মেয়ে 'ঐশী' তনয়া
নেশার ঘোরে করল খুন হতভাগা,
বাপ-মায়ের প্রাণনাশে শরীর করলো রাঙা।
এইভাবে আর কত মরণ দেখবি তোরা,
সমাজ পরিবেশ যে আজ অন্ধকারে ভরা।
আয় দেখে যা-
এইখানে ঘুমায় খুশি মনি!
সারাক্ষণ থাকত হাসি- খুশি,
বাড়ির সকলে আদর করত তাকে বড় বেশি।
এতটুকু অনাদর অবহেলায় চোখের জলে পরিবেশ হত ভারি,
সোনার মতন মুখখানি আজ পড়ে আছে অমনি।
বালিশ চাপায় প্রাণবধ করল তারই গর্ভধারিণী,
মায়ের পরকিয়ায় আজ সন্তান যে হয়েছে বলি।
লজ্জায় আজ মাথা কোথায় রাখি,
কোন অশনি সংকেত ধ্বনিতেছে জাতির এখনই।
দোয়া কর সেসবের লাগি -
তাদের আত্মার শান্তি করো খোদা তুমি,
ন্যায় বিচারে করো তাদের খুশি;
এরূপ মরণ না দেখে বিশ্ববাসী।
৭ নভেম্বর, ২০১৬।
প্রধান উপদেষ্টাঃ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান,অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট।। সম্মানিত উপদেষ্টাঃ সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ আমজাদ হোসেন রতন ।। সিনিয়র সাংবাদিকঃ ডা.এম এ মান্নান ।। সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ রেজাউল করিম ।। নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ সোলায়মান হোসাইন ।। বার্তা সম্পাদকঃ জাকারিয়া আল ফয়সাল।
যোগাযোগঃঠিকানা: হাসেম মার্কেট, কুরগাও, নবীনগর, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা 1216। রোড নাম্বার 733 হো নাম্বার 805 ফোন: +65 8541 3954, 01894589037,মেইল:dailynewsbangla24info@gmail.com
Copyright ©️ 2024 in Daily News Bangla 24