মামুন রাফী, নোয়াখালী:
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষের মারামারিতে গুরুতর আহত হয়েছে ৬ জন।
ঘটনা টি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জাহাজ মারা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর গ্রামের সদু মিঞা (প্রকাশ) আমির হোসেনের বাড়িতে।
আহতরা হলেন হাতিয়া উপজেলার জাহাজ মারা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর গ্রামের, ফিরোজ উদ্দিনের স্ত্রী আফসানা বেগম, সদু মিঞার ছেলে আমির হোসেন, আলতাফ হোসেনের স্ত্রী বিপুল বেগম, মৃত সদু মিয়ার ছেলে ফিরোজ উদ্দিন, আমির হোসেনের ছেলে জিহাদ উদ্দিন, ফিরোজ উদ্দিনের ছেলে রিফাত উদ্দিন,
আহত অবস্থায় ভুক্তভোগীদের হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এই ঘটনার ভুক্তভোগী আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় হাতিয়া উপজেলার একই এলাকার জাহাজ মারা ইউনিয়নের ম্যাকপার্শ্বান গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের নাসির উদ্দিনের ছেলে জাহেদ উদ্দিন (৩০) সাহেদ উদ্দিন (২৫),৭নং ওয়ার্ডের আবু তাহেরের ছেলে আরিফ উদ্দিন (৩০),ভুঞা ব্যাপারীর ছেলে – নাসির উদ্দিন,(৬০),সেকান্তর আলীর ছেলে নিশান (২৮),আবু তাহেরের ছেলে -কাশেম মাঝি (৫০,গিয়াস উদ্দিনের ছেলে- রাছেল (৩৫), নিশানের মেয়ে রিনা বেগম(২৩), মৃত মতিউর রহমান শাহাজাহানের ছেলে – শাহারাজ(২৬), মৃত মতিউর রহমানের ছেলে- মোঃ হাছান (২৮),কালু সর্দ্দারের ছেলে – ইলিয়াস (২৫),আবু তাহেদের ছেলে কাউছার (৪২) সহ আরো ২৬ জনের বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী আলতাফ হোসেন মামলার উল্লেখ করেন- যে জমি নিয়ে মারামারির সূত্রপাত সেই জমির মালিক ছিলেন ভুক্তভোগীর পিতা মৃত সদু মিঞা। তিনি মৃতুর আগে ভুক্তভোগীর আলতাফের নামে আর, এস রেকর্ড করে তাদের দখলে থাকাবস্থায় মৃত্যুবরন করে এবং ভুক্তভোগী আলতাফ হোসেন এবং ভাই আমির হোসেন, ও ফিরোজ উদ্দিন, দখল কৃত জমি ওয়ারিশ সুত্রে মালিক হয় ।
তারা জানান- আমাদের পুরাতন বাড়ি তে জায়গার সংকুলান না হওয়ার কারনে আমার ভাই আমির হোসেন নিম্ন তফসিল ভূমিতে এসে বাড়ী ঘর নির্মান করে এমত অবস্থায় আমাদের নামে রেকর্ড হওয়ার ভুমি মামলায় আসামীরা তাদের ভুমি বলে দাবি করে।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়- আসামিরা তাকে এবং তার ভাইদের কে দা রড, চেনি সহ আরো অস্ত্র নিয়ে আঘাত করে বিভিন্ন জায়গায় জখম করে।
ভুক্তভোগীরা জানান – অভিযুক্ত আসামীরা পূর্ব পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে একই উদ্দেশ্যে জাহেদ উদ্দিনের নেতৃত্বে সকল আসামী হাতে আগ্নেয় অস্ত্র, দা, চেনি, কিরিছ, লোহার রড খড়া সহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জাহাজমারা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড, মোহাম্মদপুর গ্রামের আমির হোসেনের বসত বাড়িতে দলবদ্ধ হয়ে প্রবেশ করে সবাইকে এলোপাতাড়ি মারধরের ডাক দিয়ে জাহেদ উদ্দিন সহ অন্যন্য আসামীরা আগ্নেয় অস্ত্র থেকে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আমাকে ও আমার ভাইদের কে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে।
অভিযুক্ত জাহেদ উদ্দিন, ধারালো চেনি দিয়ে প্রানে হত্যার উদ্দেশ্যে আফসানা বেগম এর মাথা লক্ষ্য করে স্বজোরে কোপ মারলে উক্ত কোপ তার মুখের বাম অংশে লেগে নিচে দাঁতের মাড়ির হাড় সহ বৃহদাংশ কেটে হাঁড় কাটা গুরুতর জখম হয়। প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়। তাকে ৫টি সেলাই করতে হয়।
ভুক্তভোগী আরো জানান- এই ঘটনার সাথে শুরু থেকে আব্দুল ওহাব অভিযুক্তদের সহযোগিতা করে আসছে। যদি ও একটি মহলের কারণে তার নাম মামলায় দেওয়া হলে ও তা কেটে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত আরিফ উদ্দিন জানান- আমাদের বাড়ির সামনে একটা জমি ৩০ বছর দখল করে রাখছে। তারা ঐ জমির মাঝ খানে তাদের বাড়ির দরজা বানিয়ে ফেলছে। তাকে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আলতাফ হোসেনের লোকজন কম থাকায় তারা অতিরিক্ত মার খেয়েছে।
এই বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল খায়ের জানান- যারা মামলা করেছে ঐ জমি গুলো তাদের এই বিষয়ে আমি অবগত রয়েছি। এগুলো আলতাফ হোসেনদের জমি।
এই বিষয়ে জাহাজ মারা পুলিশ ক্যাম্প এস আই সামসুল জানান- দুই পক্ষের জমি জমা নিয়ে মারামারি হয়েছে। তদন্ত চলছে।
ঘটনার বিষয়ে হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জানান – বিষয় টা শুনেছি তদন্ত চলছে আমাদের পুলিশ তদন্ত রিপোর্ট দিলে বিষয় টা বুঝতে পারবো।
মামুন রাফী
জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী
মোবাইল: ০১৩১৯২৭৬৪৬৪
Leave a Reply