ফারিছ আহমদ, রিপোর্টার হোসেনপুর :
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে ওয়াকফেকৃত জমিতে মসজিদ নির্মাণে বাধা প্রদান করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে এলাকাবাসী ও স্থানীয় মুসল্লিরা মানববন্ধন করে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে জরুরি প্রতিকার দাবি করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে , ২০১৬ সালে এলাকার বিভিন্ন স্তরের লোকজনের সহায়তায় উপজেলার ঢেঁকিয়া গ্রামে টিনের তৈরি মীরপাড়া বাইতুস সোবহান জামে মসজিদ’ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে মসজিদটির নিজস্ব জায়গার মালিক মোঃ মজিবুর রহমান সেটি ওই মসজিদের নামে ওয়াকফে করে দেন। সম্প্রতি মসজিদটি পাকা করার করার উদ্যোগ নিয়ে পাশের একটি জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়। ফলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের লোকজন ওই খালি জায়গা বেআইনি ভাবে দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে এবং পাকা মসজিদ নির্মাণে বাধা প্রদান করে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলেছে। এমনকি মসজিদের ওই জমি গ্রাস করতে ওই চক্রের লোকজন আদালতে ভিত্তিহীন মোকদ্দমা দায়ের করলেও আদালত তাদের পক্ষে কোনো রায় দিচ্ছে না।এমন অবস্থায় ওই প্রভাবশালী মহলের লোকজন বারবার নানা অজুহাতে মসজিদ নির্মাণ কাজ আদালতের আদেশ ছাড়াই বাধা প্রদান করেছে। তাই ভুক্তভোগী মুসল্লিরা মানববন্ধন করে জরুরি প্রতিকার চেয়েছেন।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল মজিদ- জানান, জমির মালিক মজিবুর রহমানের ভাই বোনদের মধ্যে এজমালিতে স্বত্ববান মালিক দখলদার থাকাবস্থায় বিভিন্ন তারিখের দলিল মূলে মজিবুর রহমান মালিক দখলদার থাকাবস্থায় বিগত ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তারিখে ২২৩৬ নম্বর ওয়াকফ দলিল মূলে ৫ শতাংশ জমি ঢেঁকিয়া মীর পাড়া বায়তুশ সোবহান জামে মসজিদ বরাবরে ওয়াকফ করে দখল বুঝিয়ে দেন। কিন্তু ওই প্রভাবশালী মহলের লোকজন মসজিদের জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে মসজিদ কমিটিকে বিবাদী না করিয়া মিথ্যা নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত আনয়ন করে সে:মে:২৮৪ দাগে মসজিদ নির্মাণে বাধা প্রদান করে।
এ ব্যাপারে সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর খন্দকার মোঃ বাদল মিয়া জানান, এখানে একটি কাচা ঘরের মসজিদে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে অনেক কষ্ট হচ্ছিলো। তাই স্থানীয় মুসল্লিরা পাকা মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও কতিপয় প্রভাবশালী লোকজনের বাধায় নির্মাণকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে কিভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যায় তার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
ফারিছ আহমদ, হোসেনপুর।
Leave a Reply