এম এ মোমিন:
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৭ নং চিলারং ইউনিয়নে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার ১৬-ই মার্চ সকাল ১০:০০ মিনিটে চিলারং ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবি পন্য বিতরণ শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিট পর্যন্ত স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে বিক্রি কার্যক্রম শেষ হয়। এসময় এই টিসিবি পণ্য নিতে সকল শ্রেণির সুবিধাভোগীদের দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করতেও দেখা গেছে। অনেকেই আবার অভিযোগ করেন তাদের স্মার্ট কার্ডগুলো সার্ভারে ভেরিফিকেশন হচ্ছে না। অনেকেই পূর্বে টিসিবি পন্য পেলেও এইবার তারা টিসিবি পন্য পাচ্ছেন না তাদের স্মার্ট টিসিবি কার্ডে অন্তর্ভুক্তি করা হয়নি।
৭ নং চিলারং ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, পূর্বে ১৬৩০ জনকে টিসিবি পন্য দেওয়া হলেও এবার ইউনিয়নের প্রায় ১১০২ জন স্বল্প ও নিম্ম আয়ের খেটে খাওয়া পরিবারগুলো স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে এই সুবিধা পাচ্ছে। বাদ পড়েছেন প্রায় ৫২৮ জন মানুষ।
জানা গেছে, প্রতিটি ইউনিয়নে বিভিন্ন তারিখে এই পণ্যগুলো বিতরণ করা হচ্ছে। রমজান মাসে নির্দিষ্ট স্মার্ট কার্ডের বিপরীতে ভর্তুকি মূল্যে প্রতিটি প্যাকেজ মূল্য ৬০০ টাকা। প্রতি প্যাকেজে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি ছোলা, ২ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ও ২ কেজি মশুর ডাল প্রদান করা হচ্ছে। যা একটি পরিবারের জন্য প্রায় এক মাসের চাহিদা পূরণ করবে।
এ সময় টিসিবি স্মার্ট কার্ডে অন্তর্ভুক্তি হয়নি এমন কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন যে, আমরা গরিব দিন মজুর স্বল্প আয়ের মানুষ আমাদেরকে টিসিবির কার্ড থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। অথচ সমাজের অনেক বিত্তবানকে দেখছি স্মার্ট টিভি কার্ড দিয়ে টিসিবি পণ্য নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই আবার বাইরে ক্রেতার কাছে পণ্যগুলো বিক্রি করে দিচ্ছেন। আমরা সঠিক তদন্ত করে আমাদের নাম পুনরায় স্মার্ট টিসিবি কার্ডে অন্তর্ভুক্তি করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন জানাই।
৭ নং চিলারং ইউনিয়নের টিসিবির ডিলার মেসার্স নেছার আহমেদ এন্ড ব্রাদার্স স্বত্তাধিকারী নূর মোহাম্মদ বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে সরকারের নিয়ম মাফিক সংশ্লিষ্ট পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও অন্যদের সার্বিক সহযোগিতায় পণ্যগুলো বিতরণ করছি। মোবাইল অ্যাপসে ডিজিটাল স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিতরণ করার কারণে একজনের পণ্য অন্যকে প্রদান করার কোন সুযোগ নেই। টিসিবি বিতরণের সকল তথ্য সঙ্গে সঙ্গে সার্ভারে সংরক্ষিত হওয়ার কারণে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা চাইলেই সকল তথ্য পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন। তাই টিসিবি বিতরণে কোন অনিয়ম করার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই।
অভিযোগের ভিত্তিতে প্যানেল চেয়ারম্যান শোভা আলী জানান, প্রতিবার ১৬৩০ জনকে টিসিবি পণ্য দিয়ে আসলেও এবার কেবল ১১০২ জন স্মার্ট টিসিবি কার্ডধারী এই সুবিধা পাবেন। বাকিরা অভিযোগ করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে স্মার্ট টিসিবি কার্ড ধারী যাদের ভেরিফিকেশন হচ্ছিল না তাদের প্রত্যেককে ভেরিফিকেশন করে টিসিবি পণ্য দেয়া হয়েছে। যেহেতু মোবাইল অ্যাপসে প্রতি গ্রাহকের তথ্য পূরণ করে টিসিবি পণ্য দিতে হচ্ছে, সেহেতু একটু সময় লাগতে পারে। তাই কোন হট্টগোল না করে ধৈর্য্য সহকারে ৭ নং চিলারং ইউনিয়নের সুবিধাভোগীদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে টিসিবি পণ্য গ্রহণ করে সরকারের ভালো উদ্যোগকে শতভাগ সফল করার প্রতি অনুরোধ জানান।
৭ নং চিলারং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শামসুজ্জামান জানান, ট্যাগ কর্মকর্তা ও স্ব স্ব ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কঠোর নজরদারীর মাধ্যমে এই পণ্যগুলো বিতরণ করা হচ্ছে। যেহেতু ডিজিটাল স্মার্ট কার্ডের মাধমে টিসিবি বিতরণ করা হচ্ছে, সেহেতু কোন প্রকারের অনিয়ম করার সুযোগ নেই।
Leave a Reply