আবু ইউসুফ সোহাগ- বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার ঘোষিত জেলা কমিটিকে বয়কট করলো ২০২৪ সেশনের ১০ জন দায়িত্বশীল। তারা হলেন যুগ্ম আহবায়ক এনায়েতুল্লাহ এনায়েত, সদস্য সচিব হাফিজুল ইসলাম হামীম, আহমাদুল্লাহ বিন ফরিদ, খাইরুল ইসলাম, তাকরীয় আহমাদ, আতিকুর রহমান মুজাহিদ,মাহবুবুর রহমান, সাব্বির আহমাদ, শফিকুল ইসলাম নোমানী ও আব্দুর রহমান রিমন।

আজ ১৭ ফেব্রুয়ারী ২৫ইং সোমবার রাত ১০ ঘটিকায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যুগ্ম আহবায়ক এনায়েতুল্লাহ এনায়েত বলেন “১৯৯১ সালের ২৩ আগস্ট জামানার মহান সংস্কারক, সৈয়দ ফজলুল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই রহ.) প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, তার ধারাবাহিকতায় সারা দেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জে সুন্দরভাবে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিলো কিন্তু অতান্ত আফসোস ও পরিতাপের বিষয় হলো গত 2022 সেশন থেকে কিশোরগঞ্জের ছাত্র আন্দোলনকে পরিকল্পিতভাবে নেতৃত্বশূণ্য করার জন্য গভীর স্বরযন্ত্র ধারাবাহিকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বরাংবার কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা যথার্থ কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি অথবা কে বা কারা ভূমিকা রাখতে দেয়নি। এহেন পরিস্থিতিতে গত ২০২৪ সালে ফোরামের পরামর্শকে পাশ কাটিয়ে আবারো একজন অযোগ্য ব্যক্তিকে সভাপতি করা হলে সাংগঠনিক সকল কার্যক্রমে অনৈতিকতা দেখা দেয়, যার দরুন জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে জেলা আমেলার ১৫ জন দায়িত্বশীলের ১০ জনের স্বাক্ষরিত অনাস্থা প্রস্তাবনা কেন্দ্রীয় সভাপতি বরাবর প্রেরণ করা হয়। কিন্তু তাতে হিতে বিপরিত হয়। কেন্দ্র কোন সমাধান না দিয়ে সকলকে পদভূত করে সাধারণ সদস্য ঘোষনা করে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। সর্বশেষ ২২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক কিশোরগঞ্জ জেলা অফিসে এসে গভীর রাত পর্যন্ত সকল দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলে জেলা আমেলার চাহিদার বিপরীত আবারও কয়েক দিনের জন্য তানভীর আহমাদকে আহবায়ক, এনায়েতুল্লাহ কে যুগ্ম আহবায়ক ও হাফিজুল ইসলাম হামিম কে সদস্য সচিব করে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি একটি নাটকীয় আহ্বায়ক কমিটি করে দেয়। যদিও কমিটির দীর্ঘদিনের দায়িত্বশীলগণ এই কমিটি পছন্দ করেনি তথাপিও বিশৃঙ্খলা এড়াতে সংগঠনের স্বার্থে সবাই মেনে নেয়। সে দিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি বলেছিলেন অচিরেই বৃহৎ আকারে জেলা সম্মেলন হবে এবং সবাইকে নিয়ে সুন্দর একটি কমিটি করা হবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো, আসন্ন চরমোনাই মাহফিল উপলক্ষে যখন আজ ১৭ ফেব্রুয়ারী সকালে সবাই চরমোনই অভিমুখে রওয়ানা করেছে, ঠিক তখন’ই অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে, লুকোচুরি করে কেন্দ্রীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক কিশোরগঞ্জে জেলা কমিটি করতে আসেন এবং পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন যা বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব সহ ২০২৪ সেশনের অধিকাংশ দায়িত্বশীলগণ জানেন না। বোঝাগেলো কোন অদৃশ্য শক্তির বলে এই কমিটি করা হয়েছে। ২০২৪ সেশনের ১০ জন দায়িত্বশীল এই কমিটিকে বয়কট করছি। আমাদের প্রাণের সংগঠনকে যারা বিতর্কিত করে ২০২৪ সেশনের সকলকে অগ্রাহ্য করেছে, জাতীর কাছে তাদের জবাব দিতে হবে।

সদস্য সচিব হাফিজুল ইসলাম হামীম বলেন ” বর্তমানে যেই কমিটি করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অবৈধ ও লবিং কমিটি বলে মনে করছি এবং আমরা সবাই তা প্রত্যাখ্যান করছি।পীর সাহেব চরমোনাই এর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কিশোরগঞ্জের ছাত্র সমাজকে নিয়ে আমরা অচিরেই একটি “ছাত্র পারিষদ” ঘোষণা করবো। ইনশাল্লাহ্। সাথে সাথে যারা অন্যায়, চাটুকারিতা ও লবিং এর বিরুদ্ধে সোচ্চার তাদেরকে আমাদের এই কাফেলায় যোগদিতে আহ্বান করছি। উল্লেখ্য: আজ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব সুলতান মাহমুদ ও অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম উপস্থিতিতে তানভীর আহমাদ কে সভাপতি মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম কে সহ সভাপতি ও মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া কে সাধারণ সম্পাদক এর নাম ঘোষণা করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।