আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
সড়ক নির্মাণ কাজের অনিয়মের অভিযোগে তালতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ও ঠিকাদার এনামুল হকের বিরুদ্ধে ঝাড়– মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের এ মিছিল করা হয়। মিছিলে এলাকাবাসী প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন ও ঠিকাদার এনামুল হকের বিরুদ্ধে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
জানাগেছে, তালতলী উপজেলার মালিপাড়া-নয়াপাড়া গ্রামের আঞ্চলিক সড়ক নির্মাণে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস গত বছর ডিসেম্বর মাসে দরপত্র আহবান করে। এক কোটি ২১ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে কাজ পায় আমতলীর ঠিকাদার এনামুল হক। গত মার্চ মাসে কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। কাজের শুরুতেই ঠিকদার প্রাক্কলন অনুসারে কাজ করেনি এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। নি¤œমানের বালু ও খোয়া দিয়ে তিনি কাজ করেন। স্থানীয়রা বেশ কয়েকবার বাঁধা দিলেও তিনি তা মানছেন না। বৃহস্পতিবার ওই নি¤œমানের ইটের খোয়া দিয়ে ম্যাগাডাম করেন ঠিকাদার। তখন এলাকাবাসী এতে বাঁধা দেয়। কিন্তু তাদের সঙ্গে ঠিকাদার এনামুল ও প্রকৌশলীর লোজজন খারাপ আচরণ করেন। এর প্রতিবাদে এলাকাবাসী প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন ও ঠিকাদার এনামুলের বিরুদ্ধে ছাড়ু মিছিল করেছেন। মিছিলে এলাকাবাসী কাজের অনিয়মের কারনে তাদের শাস্তি দাবী করেছেন।
স্থানীয় রাসেল, আলমাস, বাদল, শহীদুল ইসলাম ও ছালাম বলেন, প্রকৌশলীর যোগসাজসে ঠিকাদার নি¤œমানের কাজ করছেন। নি¤œমানের কাজের প্রতিবাদ করায় ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর লোকজন খারাপ আচরণ করেছেন। এর প্রতিবাদে আমরা এলাকাবাসী তাদের শাস্তির দাবীতে ঝাড়– মিছিল করেছি। মিছিলে তারা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের শাস্তি দাবী করেছেন।
ঠিকাদার মোঃ এনামুল হক বলেন, প্রাক্কলন অনুসারে কাজ করছি। যেটুকু সড়কের কাজ খারাপ হয়েছিল তা প্রকৌশলী বলায় ঠিক করে দেয়া হয়েছে।
তালতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঠিকাদারকে নি¤œমানের ইট অপসারণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তা তিনি অপসারণ করেননি। আপনার বিরুদ্ধে কেন এলকাবাসী ঝাড়– মিছিল করেছে ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কতিপয় লোক উদ্দেশ্যে প্রনোদিতভাবে এ কাজ করেছেন।
বরগুনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান খাঁন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শেখ নুরুল ইসলাম বলেন, বরগুনা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাজের মান খারাপ হলে কাজের টাকা ছাড় দেয়া হবে না।
Leave a Reply