মোঃ রিপন হোসেন,:
ইউটিউবার-টিকটকার সুমাইয়া জান্নাত প্রিয়া কাগজপত্র জালিয়াতি করে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ের ফাঁদে ফেলে মামলা হামলা ও প্রতারণার মাধ্যমে কয়েকটি পরিবারকে হয়রানীর শিকারে। সর্বস্বান্ত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতারণার ক্ষেত্রে সে নিজের নাম কোথাও সুমাইয়া জান্নাত আবার কোথাও প্রিয়া আক্তার ব্যবহার করে থাকে। এমনকি নিজের বয়স নিয়েও লুকোচুরির বিষয়টি উঠে এসেছে। এদিকে, বিজয় নামে এক কিশোরকে সে ফাঁদে ফেলে বিয়ের কথিত এভিডেভিড তৈরি করে উল্টো তার বিরুদ্ধে বিবাহ অস্বীকারের মামলা দায়ের করে। যা আদলতে বিচারাধীন। এরপরও তার কতিপয় সহযোগীকে দিয়ে এবং স্বর জনতাকে ভুল বুঝিয়ে নিজের পক্ষে সম্প্রতি মানববন্ধন করায় সে। মূলত এরপরই এই ছদ্মবেশি নারীর অশ্লীলতা এক ছড়াকার তথ্য ফাঁস হয়। আলোচিত এই থিয়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ছোট বয়রা মারেনা গলি রেডস্থ খলপাড় এলাকার বাসিন্দা হানিফ মিয়া ও বিভা পারলিনের কন্যা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর এস এম আশরাফুল আলমের সাথে সুমাইয় প্রয়াত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এছড়াও প্রিয়ার বিবাহের ফাঁদে বাদশা, মানিক, শিবলী, জিতু সহ নাম না জানা অরে অনেকে সব হরিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে বহু বিবাহের সুমাইয়া জন্নাত দিয়োর ফাঁদে পড়ুয়া ফের সর্বস্বত্ত হয়ে গ্রিয়ার হাত থেকে বাঁচতে সাহায্যের জন্য ঘরে ঘরে ঘুরছে খুলনার খালিশপুর নয়াবাটি এলাকার ১৬ বছর বয়সী কিশোর মে. তরিকুজ্জামান বিজয় ৩ তার পরিবার।
ভুক্তভোগী বিজয়ের পরিবারের সদস্যরা জানান, খুলনার ৭ নং ঘাট এলাকায় তরিকুজ্জামান বিষয়ের সাথে পরিয়ে হয় সুমাইয়া জান্নাত গিয়োর সেই সুরূদে বিভিন্ন সময় মোবাইলে ফোনালাপ এর মাধ্যমে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পরিচয় এর সুর ধরে বিভিন্ন সময়ে বিজয়কে বিভিন্ন প্রষণায় টিকটক করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায় এক গ্রেমের গুলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে মেলামেশা করে। বিজয়ের পিতা অশরামুজ্জামান চন্দন বলেন, আমার ছেলেকে ব্ল্যাকমেইল করার উদ্দেশ্যে অশ্নীল ছবি তুলে ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমার ছেলে বিজয়কে অপহরা করে হিয়া।
একার খোঁজাখুঁজির পরেও বিজয়ের সন্ধান না পাওয়ায় খালিশপুর থানায় একটি সাধারা জায়েরি করি যার নং-১৭৭৩ তারিখ ৩১ মে ২০২৪।
পরবর্তীতে খালিশপুর খানা পুলিশ যশোরের মনিরামপুর থেকে বিষস্তকে উদ্ধার করে।
ঐ সময় জানা যায় বিজয়কে আটকে রেখে কৌশলে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ করে সুমাইয়া জন্নাত বিয়ে। পরবর্তীতে বিয়েকে কেন্দ্রে করে বিজয়ের বাবা আশরাফুজ্জামান চন্দনের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে প্রিয়া।
তিনি দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করল মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর মেকি দেয় সে।
অন্যদিকে গ্রিয়ার চাহির মত টাকা না দেয়ায় একই দিনে সেনাডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯/১ ধারায় একটি মামলা করেন পিয়া। যার নাম্বার ১০। ৪ নড়েম্বর ২০২৪। এদিকে নগরীর শিববার্জট মোড়ে ধন্ধাকারীর শাস্তির দাবিতে একটি মানববন্ধন করেন প্রিয় ও তার লোকজন। এ সংবাদের অনুসন্ধানে দেখা যায় ভোটার আইডি বার্ড, জন্য নিবন্ধন, স্কুল সার্টিফিকেট, পানগোর্ট সিভিল সার্জন সার্টিফিকেট ও নাম সংশোধন এফিডেভিটের দিয়ে প্রতাকার মধ্যমে কয়েকটি পরিবারকে সর্বশান্ত করেছে পিয় অতার।
নোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন্স তার নাম্বার ২৯৫ / ২৫ সেখানে বাদীর নাম সুমাইয়া জান্নাত পিয়া বয়স (২২) কিন্তু ভোটার আইডি কার্ড ও পাসপোর্টে জন্ম তারিখ ২৩শে ছেব্রুয়ারি ১৯৯৯৩ দেয়া আছে যাতে তার বয়স দাঁড়ুয় ৩২। যেখানে ছিয়ার নাম রয়েছে সুমাইয়া মনু্যুত। দাদিকে পল্লীমঙ্গল টাচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর একটি সার্টিফিকেটে তার নাম দেখা যায় পিয়া আতার। ২১ জুলাই ২০২২ সালের জন্ম নিবন্ধনে তার নাম পিয়া আকার।
পরীমঙ্গল উচ্চে মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রশং নাগরে নাম দেখানো হয়েছে থিয় আকার।
জানা যায় পিয় অতার কারন লুকাতে আবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ সালে বিজ্ঞজ্ঞ সিনিয়র জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর
আদলতেংশোধন সম্পর্কিত এফিডেভিট কবে। যার নং ৩৬১২।
এরার গিয়া আকতার কে লুকাতে ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে এভিডেভিট করা হয়। ২ জানুয়ারি ২০২৪ সলে সিভিল সার্জন অভিস থেকে বয়স নির্ণয় সক্রান্ত পিয় আতার নামে একটি সাদারঃ অমূলছনে পাওয়া যায়।
এই ঘটনার বিষয়ে সুমাইয়া জান্নাত প্রিয় বলেন, আশরাফুল আলম বসারের সাথে আমার কানো বিয়ে হয়নি। এর আগে আমার কোন বিয়ে ছিল না।
এতদিন তারা মিথ্যা সড়না দিয়েছে তাই কিছু বলি নাই। বিজয় আমার সম্পর্কে আমি প্রেগন্যান্ট হই। আমার স্বীকৃতির জন্য ছেলের বাবার পা পর্যন্ত ধরেও স্বীকৃতি মেলেনি। এজন্য মামলা করতে কথা হই।
প্রিয়ার করা মামলার বিষয়ে সোনাডাঙ্গা থানার অব্যাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সুমাইয়া জান্নাত মিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯/১ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার অস্তমি তরিকুজ্জামান বিজয়কে আটক করে জেল হাজতে থেকো কর হয়েছিল। মামলার তদন্ত চলছে।
Leave a Reply