শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে গেছে। তবে ঢলের পানি নেমে গেলেও বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ যেন বেড়েই চলেছে। পানি নেমে যাওয়ায় ভেসে উঠেছে এসব এলাকার ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ক্ষতচিহ্ন। এবারের স্মরণকালের পাহাড়ি ঢলের কারনে সৃষ্ট বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধ্বসে পড়েছে অসংখ্য মাটির কাঁচা দালান, টিনসেড ও আধাপাকা ঘর, ভেসে গেছে শত শত মাছের ঘের, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমন আবাদের উঠতি ফসল এবং বিনষ্ট হয়েছে সবজি ক্ষেত। এখন এসকল ক্ষতিগ্রস্থ বানভাসীরা সাময়িক ত্রাণের চেয়ে তাদের স্থায়ী পুর্নবাসনের দাবী জানেিয়ছেন।
বন্যা কবলিত এলাকা স্বরে জমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ি ঢলের পানি ভাটির দিকে নেমে গেছে। সার্বিক বন্যা পরিস্থিতিরও অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে প্রায় সবাই ঘরে ফিরেছেন। তবে অধিকাংশ ভুক্তভোগীর বাড়ির ঘরই বন্যার পানিতে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। কারো কারো বা সর্বস্য নিয়ে গেছে বন্যায় ৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মাটির দালান, মাছের ঘের ও আমন ফসলের।পানি কমার সাথে সাথেই দেখা দিয়েছে গো খাদ্য সংকট। বন্যার পানিতে খড়ের গাদা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারনে গবাদিপশুর খাদ্য সংকটর সৃষ্টি হয়েছে । সোমেস্বরী ( পাগলা ) নদী থেকে উঠে আসা বালিতে আমন ধানের জমি পরিনত হয়েছে মরুভূমিতে ৷
Leave a Reply