ফারিছ আহমদ, হোসেনপুর প্রতিনিধিঃ
১৭ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক সড়কের শুম্ভপুর রেলক্রসিং এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।নিহত হারুনুর উর রশিদ সোহাগ (৩৪) শুম্ভুপুর এলাকার ছেলে।পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভৈরবের শম্ভুপুর রেল ক্রসিংয়ের কাছে সন্ধ্যার দিকে একটি চায়ের দোকানে বন্ধু জসিম উদ্দিনের সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন সোহাগ। এ সময় তাদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জসিম সোহাগকে ছুরি দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। এসময় স্থানীয়রা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, সোহাগকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। সোহাগের বুকে গভীর আঘাত থাকায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহিন মিয়া জানিয়েছেন, পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাত ৮ টার দিকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি বলেছেন, “স্থানীয়দের মাধ্যমে যতটুকু জেনেছি সন্ধ্যার দিকে দোকানে বসা ছিলেন সোহাগ ও জসিম। হঠাৎ দুজনের মাঝে মত বিরোধ হলে তর্কাতর্কি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জসিম একটি দাড়ালো ছুরি দিয়ে সোহাগের বুকের বা পাশে সজোড়ে আঘাত করে। এতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সোহাগ। পরে স্থানীয়রা দৌড়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নেশাগ্রস্থ অবস্থায় জসিম কথাকাটাকাটির জেরে সোহাগকে ছুরিকাঘাত করে।
Leave a Reply