সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
সন্দ্বীপ উপজেলার গুপ্তছড়া সড়কের পাশে অবস্থিত হারামিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ও মুছাপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সংযোগস্থল আমতলী সড়ক প্রকাশ আনন্দ পাঠশালা সড়ক সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা-পানিতে একাকার হয়ে পড়ছে। মাত্র ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই রাস্তা এলাকাবাসী, স্কুল শিক্ষার্থী ও অফিসগামী পথচারীদের জন্য প্রতিদিনের দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে।
পথচারীদের অভিযোগ, রাস্তার পাশের বাড়িঘরের তুলনায় সড়কটি অনেক নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায় এবং সঠিক পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় কাদা ও জমাট পানিতে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে ছাত্রছাত্রী, রোগী, কর্মজীবী মানুষ ও বাজারগামী পথচারীদের মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার দুই পাশে নেই কোনো ড্রেনের ব্যবস্থা, আর দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির পাকা করণ না হওয়ায় কাদা-পানি, গর্ত ও বালির কারণে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ভ্যানচালক ও রিকশাচালকরা বলছেন, হালকা বৃষ্টিতেই চাকা কাদায় আটকে যায়, আর ভারি বৃষ্টিতে গাড়ি চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এই সড়ক ঘিরে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান মুছাপুর মাস্টার পাড়া সুরেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সন্দ্বীপের অন্যতম ধর্মীয় স্থান সত্যনারায়ণ ধাম ও বীরেশ্বরী কালী বাড়ি মন্দির, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সন্দ্বীপ আনন্দ পাঠশালা, সন্দ্বীপ মেডিকেল সেন্টার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হয়েও এর রক্ষণাবেক্ষণে কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। একাধিকবার অভিযোগ করার পরও এখন পর্যন্ত কোনো সংস্কার কাজ শুরু হয়নি।
এ বিষয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল আলীম-এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন “সড়কের কাদা-পানির অবস্থা আমি সরেজমিনে দেখেছি। এলজিইডিকে বিষয়টি অবহিত করব। বর্তমানে কোনো প্রকল্প আছে কিনা তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
Leave a Reply