সজীব আহমেদ- স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশের সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ রিট বাতিলসহ ছয় দফা যৌক্তিক দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
১৩-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার—এই স্লোগানকে সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কিশোরগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। সকাল ৯:৩০ থেকে দুপুর ১২:০০ পর্যন্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের পাশাপাশি প্রায় ১ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে তারা।
শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি:
১. জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে অবিলম্বে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০% প্রমোশন কোটা বাতিল করতে হবে। ২. জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলকভাবে “ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং” করতে হবে। ৩. ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরসহ দেশের কারিগরি সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে। ৪. কারিগরি (পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের জন্য) সকল বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। ৫. ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করতে হবে। ৬. ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিতে হবে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কিশোরগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ জনাব মো. মাহবুবুর রহমান স্যারকে বক্তব্য দেওয়ার আহ্বান জানান। অধ্যক্ষ(অতিরিক্ত দায়িত্ব) জনাব মোঃ মাহবুবুর রহমান শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং চলমান মিডটার্ম পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তাদের দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন আরও কঠোর করা হবে।
Leave a Reply