সাহেদ আলী – সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
বাংলাদেশের জাতীয় বৃক্ষ হিসেবে পরিচিত আম গাছে এখন মুকুল (ফুলের) সমারোহ।আমের ফুলকে সবাই মুকুল হিসেবেই বলে।চারদিকের প্রতিটি বাড়িতেই এখন আমের মুকুলে ভরে গেছে।বাতাসে টক টক,মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত।শোভিত এ মুকুল ভরা আমগাছ প্রকৃতিতে এনেছে নবরুপ। সেইসাথে আমগাছীদের মুখে ফুটেছে হাসি আর ভালো ফলনের আশা। থানার ঘুড়কা ইউনিয়নের জগন্নাপুর গ্রামের আমগাছী রাকিবুল হাসান জানান,এ বছর আমের বছর বলে মনে হচ্ছে।আমার বাড়ির আঙিনায় আর রাস্তার ধারে বেশ কয়েকটি গাছে মুকুলে ভরে গেছে।এখন হালকা বৃষ্টির প্রয়োজন।আশা করছি ফলনও এবারে ভালো হবে।ধুবিল ইউনিয়নের মালতি নগর গ্রামের আব্দুর রহিম মাস্টার জানান, বাড়ির সামনে,রাস্তার ধারে বেশ কয়েকটি আমগাছ আছে। মুকুল ঝরে গুটি ধরছে।গরমে গুটি ঝরে যাচ্ছে।তাই পোকামুক্ত ও গুটি ঝরে পড়া রোধে ওষধ স্প্রে করছি।থানার নলকা,হাটিকুমরুল,সলঙ্গা,ধুবিল,ঘুড়কা, রামকৃঞপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ক্ষুদ্র এসব আমগাছীরা এবার আমের ভালো ফলনের আশা করছেন।চাষীরা এখন আগের তুলনায় অনেক সচেতন। বাড়ির আম,জাম,কাঁঠাল গাছে আগে পরিচর্চা করতো না।এখন তারা ফল গাছে ফুল ফোটার শুরু হতেই ওষধ,কীটনাশক ব্যবহার করেন। আমের মুকুল এলে গুটি ছোট থাকতে একবার এবং গুটি একটু বড় হলে আরেকবার ভিটামিন ওষধ স্প্রে করে থাকেন।কৃষক বা চাষীরা সচেতন বলেই তারা ভালো ফলনের আশা করছেন। হাটিকুমরুল ইউনিয়নের চড়িয়া মধ্যপাড়া আব্দুল হামিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে,আমগাছে ব্যাপক পরিমানে মুকুল ধরেছে।মুকুলের ভারে ছোট ছোট গাছ নুয়ে পড়েছে।নলকা ইউনিয়নের বোয়ালিয়ার চর গ্রামের আমগাছী আ: ছালাম মাস্টার জানান,কৃষি অফিস এখন ইরি-বোরো,সরিষা,ভুট্টা চাষেই কৃষকদের পরামর্শ দেন না।তারা বাড়ির পাশে সবজি,বাড়ির চারদিকে,রাস্তার ধারে ফলদ-বনজ সকল গাছ পরিচর্চায় দেখভাল,পরামর্শ ও কৃষি প্রণোদনা দিয়ে থাকেন।চাষীরা তাই এবার আম গাছে ভালো ফলের প্রত্যাশা করছেন।এখন বাড়ির আঙিনা,পতিত জমি বা রাস্তার ধারে বেশির ভাগ দেশীয় উন্নত জাত ও বিদেশী জাতের আমগাছ দেখা যায়।তাতে যেমন ফলন বেশি হচ্ছে,জায়গাও কম লাগছে।তাই এবার থানার ক্ষুদ্র আমগাছীদের মুখে হাসির ঝলক ফুটেছে।
Leave a Reply