শাহাদাত কামাল শাকিল…..
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পারুল নামে একজন রোগীর মৃত্যু হলে তার স্বজনরা দাবি করেন ‘অবহেলা এবং ভুল চিকিৎসায়’ তাদের রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রোগীর স্বজনদের সাথে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বাকবিতন্ডা এবং উত্তেজিত পরিস্থিতির তৈরি হয়। একপর্যায়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হামলায় রোগীর স্বজনরা আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কুমিল্লার কর্মরত সাংবাদিকরা। এ সময় উত্তেজিত ইন্টার্ণ চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা যমুনা টেলিভিশনের ব্যুরো চিফ খোকন চৌধুরী ও ভিডিও জার্নালিস্ট সাকিব এবং চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের স্টাফ রিপোর্টার জাহিদুর রহমান ও ভিডিও জার্নালিস্ট ইরফান ও নয়া দিগন্তের ডিজিটাল রিপোর্টার ফাহিমের উপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় যমুনা টেলিভিশন ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরা ট্রাইপড মোবাইল ছিনিয়ে নেয়, ভাঙচুর করে। হাসপাতাল ভবনের সাত তলায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তারা ফাঁকা গুলি ছুড়েন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
মধ্যরাতে সংবাদ সংগ্রহে গেলে সাংবাদিকদের উপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদ করেন কুমিল্লার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ কুমিল্লার মানুষের আস্থা ও নির্ভরতার স্থান। বিগত বেশ কিছুদিন যাবৎ এই মেডিকেল কলেজে নানান অনিয়ম এবং অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। একজন পরিচালকের ব্যর্থতার ফলে রোগীরা সেখানে সঠিক সেবা পায় না। হাসপাতালের এমআরআই সিটি স্ক্যান এক্সরে মেশিনগুলো বিকল থাকায় রোগীদের দুর্ভোগ বাড়ছে। এ বিষয়ে পরিচালকের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। রোগীরা নানা সমস্যা দুর্ভোগের অভিযোগ করে আসলেও এই পরিচালক সেগুলো সমাধান করতে ব্যর্থ। অবিলম্বে তাকে অপসারণ সহ এই ঘটনায় জড়িত, সম্পৃক্ত দুর্বৃত্তদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
Leave a Reply