প্রসেনজিৎ চন্দ্র শর্মা:
২২ মার্চ শনিবার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ হিন্দু কল্যান ফ্রন্টের দিনাজপুর জেলা শাখার আহবায়ক শ্রী উত্তম রায়। এসময় তিনি বলেন, দিনাজপুর রাজদেবোত্তর এস্টেটের অধীনস্ত গুঞ্জাবাড়ী এলাকায় রঘুনাথ জিউ মন্দিরে একটি গোষ্ঠী বাসন্তী পূজা করার আয়োজন করেছিল।
যেহেতু এটি রাজদেবোত্তর এস্টেটের সম্পত্তি তাই ওখানে যে কোন ধরনের আয়োজন করতে হলে অবশ্যই রাজদেবোত্তর এস্টেটের অনুমতির প্রয়োজন। কিন্তু এখানে বাসন্তী পূজার আয়োজন করা হলেও রাজদেবোত্তর এস্টেটের কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। এছাড়াও গুঞ্জাবাড়ী এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠিত দূর্গামন্দির রয়েছে এবং দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে দুর্গাপূজার আয়োজন হয়ে আসছে।
দুর্গামন্দির থাকলেও ওই গোষ্ঠীটি রঘুনাথ জিউ মন্দির এলাকায় বাসন্তী পূজার আয়োজন করায় বিষয়টি স্থানীয় জনমনে প্রশ্নের সঞ্চার করে। এনিয়ে দুর্গামন্দির কমিটির সাথে বাসন্তী পূজা যারা করছেন তাদের মতবিরোধ বা মনোমালিন্যও চলে আসছে। বাসন্তী পূজার আয়োজন হলেও রাজদেবোত্তর এষ্টেট থেকে কোন ধরনের অনুমতি দেননি জেলা প্রশাসক বা রাজদেবোত্তর এস্টেটের এজেন্ট।
এটি নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই আলোচনা হয়ে আসছে। এমতাবস্থায় গত ১৯ মার্চ বুধবার দুপুরে প্রশাসন বাসন্তী পূজার আয়োজনের জন্য তৈরী হওয়া প্যান্ডেল খুলে দেয়। ঘটনার পর সেখানে কিছু সংখ্যক মানুষকে নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি করেন চয়ন সরকার। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এসময় তিনি আরো বলেন, গত ২০ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ওই মানববন্ধনের আয়োজন করে বাসন্তী পূজার আয়োজন যারা করছিল তারা। তাদের মধ্যে চয়ন সরকারসহ আরো অনেকেই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, তারা ওই ঘটনার সাথে আমি জড়িত রয়েছি বলে অভিযোগ করে।আমার সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আমি বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এবং তারেক রহমানের নাম ভাঙিয়ে বলেছি, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে রাত ১২ টা থেকে রাত ২ টা পর্যন্ত থ্রেট দেয়ার কথা। বিএনপি হিন্দুদের নির্যাতনের অনুমতি দিয়েছে এমন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান করেন তারা।
প্রকৃতপক্ষে এসব ঘটনার সাথে আমি কোনভাবেই জড়িত নই,এগুলো তাদের মিথ্যাচার। আমি এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। চয়ন সরকার বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সুবিধাভোগী একজন মানুষ। সে বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন করতেই এমন কুতসা রটাচ্ছেন এবং সাম্পদায়িক একটি দাঙ্গা লাগানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন মাত্র। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমার অনুরোধ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করুন।
Leave a Reply