সোহাগ কাজী,মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি:
আমাদের রব আল্লাহ তাই মহান আল্লাহকে পেতে হলে রাসুলের পথ অনুসরন অপরিহার্য। এই জন্য আল্লাহর হুকুম মানার ও দ্বীন শিক্ষা করতে এবং রাসূলের জীবন ব্যবস্থা ছারছীনার পীর, পখীরা পীর নেছারাবাদ পীরের মতো হক্কানী পীরগন অনুসরন করেছেন। তাই আল্লাহ ভোলা বান্দাকে আল্লাহর ওলী পীরের কাছে গিয়ে দ্বীন শিক্ষা নিয়ে দিলের মধ্যে আল্লাহর মহব্বত পয়দা করতে হবে। ঢাকার গাউসুল আজম জামে মসজিদের খতিব ও দৈনিক ইনকিলাবের নির্বাহী সম্পাদক মাওলানা কবি রুহুল আমিন খান আজ শনিবার দুপুর ২টায় মাদারীপুর আহমদিয়া কামিল মাদরাসা ময়দানে পখীরা দরবার শরীফের উদ্দোগে আয়োজিত গত ২১, ২২, এবং ২৩ নভেম্বর ৩দিনব্যাপী ৮৪ তম ঈছালে ছওয়াব ও ওয়াজ মাহফিলের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এ কথা বলেন।
মাহফিলের সভাপতি পখীরার পীর মুফতি শরীফ মুহাম্মদ ইমরান বিন-নুর জানান, ২১ নভেম্বর ১ম দিন আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিকসহ ৬জন বক্তা, ২২ নভেম্বর মুফতি ড. মুহাম্মদ কফিলুদ্দিন সরকার সালেহী সহ ৬জন বক্তা এবং আজ ২৩ নভেম্বর আল্লামা হযরত মাওলানা রুহুল আমিন খানসহ ৬জন বক্তা ইসলাম ও দ্বীন প্রচারের উপর বয়ান করেন। ৩দিন ব্যাপী এ মাহফিলের পরিচালনায় ছিলেন আহমদিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পীরজাদা মাওলানা শরীফ মো: মিজানুর রহমান।
প্রধান অতিথি মাহফিলে বিশ্বের মুষলমানদের উপর হত্যা,অত্যাচার, নির্যাতন রোধে এবং নিহতদের জান্নাতী হিসাবে মর্যাদা দাবী করে আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া প্রার্থনার মধ্যে আখেরী মোনাজাত শেষ করেন। পরে প্রধান অতিথি তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে প্রয়াত পখীরা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা পীর মাওলানা নুরমোহাম্মদ তার পুত্র পখীরার পীর মাওলানা ছগীর মাহমুদের কবর জিয়ারত করে মাহফিল ময়দান ত্যাগ করেন।
উক্ত ওয়াজ মাহফিলে দেশবরেণ্য আলেম ওলামা,পীর সাহেবের উত্তরসুরিগন,ব্যবস্থাপনা কমিটি,বিভিন্ন মসজিদের ইমামগণ,মাদ্রাসার শিক্ষক,ছাত্র,ভক্ত বৃন্দসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply