শাহাদাত কামাল শাকিল:
কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার রহিমপুর পাটোয়ারী বাড়ীর মালদিপ প্রবাসী সাইফুল ইসলাম এর স্ত্রী মোসাম্মদ তানিয়া আক্তার নগদ টাকা ও স্বর্নালঙ্কার নিয়ে পালিয়েছে। এ ঘটনায় প্রবাসীর পিতা মোঃ আবুল হোসেন বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এবং বিজ্ঞ আইনজীবির মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন।
থানায় অভিযোগে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার রহিমপুর পাটোয়ারী বাড়ীর মালদিপ প্রবাসী সাইফুল ইসলাম এর সাথে আদর্শ সদর উপজেলার বড়দৈল মহাজন বাড়ীর মোঃ তারু মিয়ার কন্যা মোসাম্মদ তানিয়া আক্তার এর ১৩ বছর পূর্বে ইসলামী সরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের পর থেকে তানিয়া আক্তার পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে। উক্ত বিরোধের জের ধরে প্রবাসী সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে মানসিক হয়রানী করে আসছে। তানিয়া আক্তার তার ইচ্ছেমত চলাফেরা করতে থাকে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছেলেদের সাথে পরোকিয়ায় লিপ্ত হয়। এ অপকর্মের বাধা দিলে তানিয়া আক্তার সাইফুল ইসলাম এর সংসার করবে না বলে হুমকি দেয়। গত ১৪ এপ্রিল তানিয়া আক্তার তার বাবার বাড়ী আদর্শ সদর উপজেলার বড়দৈল মহাজান বাড়ী থেকে প্রবাসী সাইফুল ইসলামের চলমান বাড়ীর কাজ সম্পন্ন করার জন্য গচ্ছিত নগদ ৮ লাখ টাকা ৮ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্নের গহনা নিয়া অজ্ঞাতস্থানে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় প্রবাসী সাইফুল ইসলাম এর পিতা মোঃ আবুল হোসেন বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানার এসআই সৈকত মজুমদার ঘটাস্থল পরিদর্শন করেন।
মোঃ আবুল হোসেন বলেন, মোসাম্মাদ তানিয়া আক্তার এর সাথে আমার ছেলেকে বিয়ের করানোর পর থেকে সে বিভিন্ন সময় জগড়া বিবাধ সহ নানান সমস্যা সৃষ্টি করত। তানিয়া আক্তার কৌশলে আমার প্রবাসী ছেলের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণের বিভিন্ন গহনা হাতিয়ে নেয়। ১৩ বছরের সংসার জীবনে জুনায়ের নামে ১১ বছরের এক ছেলে রয়েছে। সে পালিয়ে যাওয়ার সময় তার ছেলে জুনায়েদকে সাথে নিয়ে যায়। বর্তমানে তারা কোথায় আছে আমরা জানি না। তানিয়া আক্তার পালিয়ে যাওয়ার পর তার পরিবার বিভিন্ন ভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। আমি এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
Leave a Reply