প্রসেনজিৎ চন্দ্র শর্মা:
চিরিরবন্দরের সুখীপীর হাটে প্রতিদিনই এই হাটে উঠছে কাঁচা মরিচ।ফলে হাটে ছড়াছড়ি কাঁচা মরিচের। দূর-দূরান্তের পাইকাররা কিনে বস্তা ভরছেন আর ট্রাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন দেশের অন্যান্য জেলায়।দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার ৫নং আব্দুলপুর ইউনিয়নের সুখীপীর হাটে সপ্তাহে দুদিন হাট হয় শনিবার ও বুধবার । প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে মরিচেরহাট। মরিচের এই হাটে চিরিরবন্দর উপজেলা সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার শত শত মরিচচাষি ও ব্যবসায়ী আসেন।
স্থানীয়রা জানান, শুধু মরিচ ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই দূর-দূরান্তের ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনায় এ সুখীপীর হাট প্রতিদিন সরগরম থাকে। সবেমাত্র শুরু কয়েকদিনের মধ্যেই নওগাঁ, কুষ্টিয়া, রানীনগর, আত্রাই,নাটোর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রামে এই সুখীপীর হাটের কাঁচামরিচ ট্রাকে-ট্রাকে লোড হয়ে গন্তব্যস্থলে যাবে।
দুপুর থেকে শুরু মরিচ কেন চলে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত। গড়ে প্রতিদিন হাটে ১০থেকে ১২ হাজার কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়। সেই হিসাবে প্রতিদিনই ৫ লক্ষ টাকার মরিচ বিক্রি হয় বাজারটিতে। এতে করে ওই এলাকাগুলোর মরিচচাষিরা উপকৃত হচ্ছেন। ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখর হাট।কেউ মরিচ বস্তাবন্দি করছেন, কেউ আবার টাকা গুনছেন। এখানে আকাশী মরিচ, বিন্দু মরিচ, সাপ্লাই মরিচ, ডেমা মরিচ, ডেমা হাইব্রিড মরিচ, জিরা মরিচসহ দেশি মরিচ পাওয়া যায়। তবে, প্রকারভেদে এসব মরিচ বিক্রি হয়। তবে, কোনো কোনো দিন আমদানির তুলনায় চাহিদা বেশি হলে দাম একটু বেশি থাকে।
কাজে সংশ্লিষ্ট সবার জীবনে একটা পরিবর্তন এসেছে। মরিচচাষিরা আসছেন, ক্রেতারা আসছেন, সবমিলিয়ে জমজমাট কাঁচা মরিচের এই হাট। স্থানীয় হাট কমিটি নিরাপত্তাসহ সার্বিক দিক তদারকি করেন। ফলে হাটটি মরিচের হাট হিসেবে ইতোমধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
Leave a Reply