মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে গাজীপুর ও টঙ্গি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া মালামাল ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় ধারালো অস্ত্র চাপাতি, ছুরি ও হাসুয়া উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারকৃতদের টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বাদল কুমার চন্দ্রের আদালতে হাজির করা হলে ২ ডাকাত সদস্য ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, ঢাকার উত্তরার শহীদের ছেলে রনি (২৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার আকিরচর গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে মানিক (২০), ফরিদপুর জেলার ভাংগা উপজেলার বিল্লাল মিয়ার ছেলে শাকিল, ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী মডেল থানার ফারুক মিয়ার ছেলে আশরাফুল (২৫), ঢাকা জেলার বাড্ডা থানার ইমরান হোসেনের ছেলে মো. সাগর হোসেন (২৩) ও শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলা ফতেপুর গ্রামের মিজান মিয়ার ছেলে মিলন (২১)। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মানিক ও মিলন আদালতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ জানায়, গত ১১ জানুয়ারি রাতে হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডন প্রবাসী জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি সদর উপজেলা রাজু তালুকদার নোহা মাইক্রোবাসযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। গভীর রাতে মাইক্রোবাসটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই ফ্লাইওভারে টাঙ্গাইলগামী লেনে পৌঁছালে ডাকাত দলের ১০/১২ জন সদস্য একটি পিকআপ দিয়ে তাদের গাড়ীর গতিরোধ করে। পরে তারা মাইক্রোবাসের যাত্রীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা ৩টি বড় লাগেজ, ৫টি ছোট ব্যাগে রাখা ১টি আইফোন, ১টি এ্যাপেল স্মার্ট ওয়াচ, ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার (১টি চেইন, ৪টি আংটি, এক জোড়া কানের দুল) ১টি ডায়মন্ডের লকেট, কাপড় ও কসমেটিকসসহ প্রায় ৯ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ওই দিন প্রবাসী রাজুর ভাতিজা সাইফুর রহমান পলাশ বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা করে। পরে মির্জাপুর থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডাকাত দলের সদস্যদের ধরতে অভিযানে নামে। তারা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১৪ টি থ্রি-পিস ও মেয়েদের ১ জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়।
এব্যাপারে মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একাধিকস্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
Leave a Reply