ওমর ফারুক আহম্মদ, বারহাট্টা(নেত্রকোনা)প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার ২ নং সাহতা ভূমি অফিসের নায়েব একটা নীতি নিয়ে চলেন।তিনি ভূমি অফিসে যারাই নামজারী করতে আসেন তাদের কাছে নামজারীর আবেদনের টাকা পর্যন্ত নেন না।প্রথমে ত উপকারভোগীরা খুব খুশি হয়।এত ভালো নায়েব এই যুগে থাকতে পারে।কিন্তুু যখনই খাজনার চেক কাটানোর সময় আশে তখনই খোলস থেকে বের হয়ে আসেন নায়েব রফিকুল ইসলাম।জমি বেধে কখনও কখনও খাজনা লাখ টাকার উপরেও দাবী করেন।অসহায় মানুষ তখন উনাকে ম্যানেজ করে খাজনার চেক কাটতে বাধ্য হন।
দৈনিক সবুজ বাংলা প্রতিবেদকের হাতে আসা পূর্বের একটা কলরেকর্ড থেকে জানা যায়,সাহতা ইউনিয়নের বৃ চাপারকোণা গ্রামের ননী গোপাল ধর নামের এক ব্যাক্তি তিনটি জমি খারিজের জন্য সাহতা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগাযোগ করেন।প্রথমে চরম আন্তরিকতা দেখিয়ে জমি খারিজের কাজ শুরু করলেও খাজনার চেক নেওয়ার সময় ৮৪ হাজার টাকা দাবী করেন নায়েব রফিকুল ইসলাম। অনেক রফাদফার পর ননী গোপাল ধর ও সুব্রত নামের দুইজনের চেক ১৫ হাজার টাকায় কাটা হয়।কিন্তুু চেকে মাত্র ৭২২ টাকা ও ৪৯৫ টাকা লেখা হয়।
ভুক্তভোগী ননী গোপাল ধর বলেন এটা খুব অন্যায়।আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে চেকে মাত্র ১২১৭ টাকা লেখা হল।অথচ আগে কত আইন দেখানো হল। ১২১৭ টাকা চেকে লিখে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা নিলেও কোন কষ্ট ছিল না।এখন নিয়ে নিল মোট ১৫ হাজার টাকা। আমি আমার বাড়তি টাকা ফেরত চাই এবং তাদের বিচার দাবী করছি।আরো কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান সাহতা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অস্থায়ী কম্পিউটার অপারেটর তুহিনের মাধ্যমে অধিকাংশ টাকার লেনদেন করেন নায়েব।তারাও তাদের খাজনার চেকে লেখা টাকার চেয়ে বর্ধিত টাকা ফেরত চান।
এই বিষয়ে জানতে নায়েব রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান উপকার করেছেন বিধায় টাকা নিয়েছেন।উপকৃত হয়ে কেউ কেউ উনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।এখন খাজনার চেক সম্পূর্ণ অনলাইনের মাধ্যমে কাটা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।বর্তমানে খাজনার চেকে তাদের কোন হাত নেই।
বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি জানান এটা দুঃখজনক। এই বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ ফেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply