মোহাম্মদ উল্লাহ,কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার জাঙ্গালীয় বাসটার্মিনালের পাশে রামনগর ডিওএইচএস মাঠে গতকাল ২৪ এপ্রিল , বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৮টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে শুভ উদ্বোধন হলো “কুমিল্লা কুটির শিল্প ও বাণিজ্য মেলা ২০২৫”
শান্তির পায়রা এবং বেলুন উড়িয়ে ফিতা কেটে মেলা’টি শুভ উদ্বোধন করা হয়,
মেলার মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করেন মেলা কতৃপক্ষ,,
উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সেনানিবাস সদর দপ্তর এরিয়া কমান্ডার কর্নেল এডমিন লে: ক: মনজুরুল হাসান খাঁন,লে: কর্নেল আশিক বিল্লাহ আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ভিপি আশিকুর রহমান ওয়াসিম।এই বৃহৎ আয়োজনে মেলাটি রূপ নিয়েছে কুমিল্লার সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও বিনোদনের এক অনন্য মিলনমেলায়, উদ্বোধনী দিনেই হাজারো মানুষ ভিড় করেছে মেলার মাঠে, আনন্দে, কৌতূহলে ও লোকজ ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় একাকার হয়ে গেছে পুরো মেলার মাঠ । যা সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা প্রতিদিন উন্মুক্ত থাকবে সবার জন্য। মেলাটি কুমিল্লার জাঙ্গালিয়া রামমালা অঞ্চলে বছরের সবচেয়ে বড় আয়োজন হিসেবে ইতোমধ্যেই পরিচিতি পেয়েছে। এই মেলা কুমিল্লার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও অর্থনী-ি তর অনন্য মেলবন্ধন ঘটিয়েছে। শিল্প, বাণিজ্য বিনোদন এবং উদ্ভাবনের বিশাল প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে।এই আয়োজন প্রায় ২৫০টির বেশি দোকান ও স্টলের মাধ্যমে এই মেলায় তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ – কুটির শিল্প। মাটির তৈরি শোপিস, নকশিকাঁথা, বাঁশ ও বেতের তৈরি ঘর সাজানোর সামগ্রী, কাঠের কারুকার্য, পাটের পণ্য, হাতে বোনা দড়ির ঝুড়ি সব কিছুতেই । মিলেছে দেশীয় ঐতিহ্যের ছোঁয়া। এছাড়াও রয়েছে জামদানি, সিল্ক, তাঁতের শাড়ি, বুটিক হাউসের পোশাক, অনলাইন উদ্যোক্তাদের হ্যান্ডমেড স্কিন কেয়ার, জুয়েলারি ও ঘর সাজানোর তৈজসপত্র । শুধু হস্তশিল্প নয় মেলায় রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির পণ্যেরও বিশেষ কিছু স্টল। রয়েছে কসমেটিক্স, কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স, ফুড প্রসেসিং পণ্য এবং নতুন উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগ। প্রতিদিন সন্ধ্যায় মঞ্চে আয়োজন করা হচ্ছে , সংগীতানুষ্ঠান, যেখানে অংশ এক নিচ্ছেন জাতীয় ও স্থানীয় শিল্পীরা। থাকছে বাউল গান, যাত্রাপালা, মাইম শো ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। শিশুদের জন্য রয়েছে নাগরদোলা, ট্রেন রাইড, রোলার কোস্টার, কিডি জোন, বাউন্সিং ক্যাসেলসহ বিভিন্ন রকমের খেলার আয়োজন। খাবারের স্টলগুলোতেও বৈচিত্র্য, রয়েছে ফুচকা, চটপটি, কাবাব, বার্গার, সিলেটি ৭ কাচ্চি, চিটাগাং স্পেশাল মেজবানি, রাজশাহীর টকদই, মুড়ি-মুড়কি, গ্রামের ঐতিহ্যবাহী পিঠা সবকিছুই যেন এক স্বাদময় জগৎ খুলে দিয়েছে। মেলায় ঘুরতে আসা গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, “আমি প্রতিবছর মেলা আসি, কিন্তু এবারের মেলায় এসে মনে হচ্ছে যেন পুরো দেশটাকে এক মাঠে এনে রাখা হয়েছে।মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা বলছেন এখানকার লোকশিল্প আর
হাতে বানানো জিনিস দেখে অবাক হয়ে গেছি। কিছু কিনেছি, কিছু শিখেছি দারুণ লাগছে। তরুণ উদ্যোক্তা’ রা বলেন, আমরা অনলাইন ব্যবসা করি। এই মেলায় এসে আমরা সরাসরি গ্রাহকের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছি। এটা শুধু বেচাবিক্রির জায়গা নয়, এটা একটা শিক্ষার জায়গাও। মেলার আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই আয়োজনে’র মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রামীণ কুটির শিল্পকে পুনর্জাগরণ করা ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সামনে, একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেওয়া। মেলার আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই আয়োজনে’র মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রামীণ কুটির শিল্পকে পুনর্জাগরণ করা ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সামনে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেওয়া।
মেলাটি প্রতিদিন বিকেল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে, চলবে এক মাসব্যাপী।ইতোমধ্যে উৎসুক দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।
Leave a Reply