প্রসেনজিৎ চন্দ্র শর্মা:
আজ ২৬ মার্চ বুধবার দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা রানির বন্দর মহাসড়কে যত্রতত্র বাস, সিএনজি ও অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল করে তীব্র যানজট সৃষ্টি করছে রানির বন্দর ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কে। এতে ঘর মুখী মানুষের ঈদ যাত্রা সামনে রেখে সড়কে তীব্র যানজট।
যে সব স্থানে স্ট্যান্ড রয়েছে সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে তাজমহল মোড় সংলগ্ন মহাসড়কের উপরেই ঢাকা গামী কোচ স্ট্যান্ড, থানা সংলগ্ন বাস স্ট্যান্ড, থানার বিপরীতে চিরিরবন্দর গামী পাগলু স্ট্যান্ড, এর পাশাপাশি একই স্থানে দিনাজপুর রোট বাস স্ট্যান্ড সহ ৩ টি স্ট্যান্ড, আশা সুইটস সংলগ্ন খানসামা রোট গামী পাগলু স্ট্যান্ড ও হোটেলের বিপরীতে দিনাজপুর গামী অটো এবং সিএনজি স্ট্যান্ড, মোড়ে বাস সহ পাশাপাশি ৪টি অটো ভ্যান ও রিকশা স্ট্যান্ড। পাশেই বাজার থাকার কারনে এই ব্যস্ততম সড়কে প্রতিদিন ঘটছে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা।
এ দুর্ঘটনায় কারো কারো চলে যাচ্ছে তরতাজা প্রাণ। আবার দুর্ঘটনায় অঙ্গ হানি নিয়ে অন্যের কাধে বোঝা হয়ে বেঁচে থাকতে হয় বাকি জীবন।
স্বাভাবিক যান চলাচলের জন্য মহাসড়কের রাস্তার দুই পাশে অবস্থিত ফুটপাতের দোকানপাট উচ্ছেদের নোটিশ দিলেও প্রশাসন কে তোয়াক্কা করছেন না দোকানদাররা।
প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপংকর বর্মন গত ১ মাস আগে পাকা সড়কের উপর থেকে ভ্যান, রিক্সা, অটো, সিএনজি গাড়ি গুলো তারিয়ে দেন। তারিয়ে দেওয়ার কিছুক্ষণ পর তিনি যখন চলে যান, পরে আবার আগের মতই যানজট অর্থাৎ কোনো কাজে আসেনা এ অভিযান। এ সড়কে কেউ রেখেছেন নসিমন, করিমন আবার কেউ বা রাস্তার উপরেই ট্রাক পার্কিং রেখে মালামাল নামাচ্ছে।
যাত্রীবাহী বাসের ড্রাইভার সাহিন ইসলাম বলেন, মহাসড়কের উভয় পাশে রোড বড় করা হলেও কোন কাজে আসছে না। বাসস্ট্যান্ড গুলোতে অবৈধ ভাবে পার্কিং করার কারনে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস চলাচলে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। যানজটের সৃষ্টি হয়ে যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। মহাসড়কে বাস, অটোরিকশা রাখার কারনে দুই টা গাড়ি অনেক সময় পাশ কাটিয়ে যাওয়া অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়।
সিএনজি ড্রাইভার রিয়াজ বলেন, রাস্তার দুই পাশে ফুটপাত ও অটো রিকশার দখলে। হাইওয়ে থানা, চিরিরবন্দর থানা পুলিশ ও প্রশাসন নিচ্ছে না কোন পদক্ষেপ। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রতি মাসে উপজেলায় আইন শৃঙ্খলার মিটিং হলেও তা যেন থেকে যাচ্ছে কাগজ কলমে।
Leave a Reply