মোঃ শাহজাহান বাশার,স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গুলিভর্তি একটি ম্যাগাজিনসহ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার ব্যাগ ধরা পড়ার ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে। তবে নিজেই এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।
রোববার (২৯ জুন) সকালে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, ঘটনাটি ছিল একেবারেই অনিচ্ছাকৃত এবং ভুলবশত ঘটেছে।
আসিফ মাহমুদ লিখেছেন,“মরক্কোর মারাকেশে অনুষ্ঠিতব্য ‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম’-এ অংশ নিতে আমার ভোরে ফ্লাইট ছিল। তাড়াহুড়ো করে প্যাকিং করার সময় একটি ম্যাগাজিন ব্যাগে থেকে যায়। যদিও আমি অস্ত্রটি বাসায় রেখে দিয়েছিলাম।”
তিনি বলেন, বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ে ম্যাগাজিনটি ধরা পড়লে তিনি সঙ্গে সঙ্গে প্রটোকল অফিসারের কাছে তা হস্তান্তর করেন।
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন,“আমার ওপর গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে একাধিকবার হত্যাচেষ্টা হয়েছে। ফলে সরকারি নিরাপত্তা না থাকলে নিজের ও পরিবারের সুরক্ষার জন্য বৈধ অস্ত্র রাখা অত্যন্ত স্বাভাবিক।” তিনি জানান, তিনি আইন মেনেই অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছেন।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “শুধু একটি ম্যাগাজিন দিয়ে আমি কী করতাম? যদি আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে অস্ত্রটিও সঙ্গে রাখতাম। তাই এ ঘটনাটি নিয়ে অতিরিক্ত ব্যাখ্যা বা সন্দেহের কিছু নেই।”
আসিফ মাহমুদ এই ঘটনার সংবাদ প্রকাশে বাধা দেওয়ার অভিযোগও জোরালোভাবে অস্বীকার করেছেন। তার ভাষায়,“এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ঘটনাটির পরপরই ফ্লাইটে ছিলাম, টানা ১০ ঘণ্টা প্লেনজুড়ে ছিলাম। পরে ট্রানজিটে নেমে ইন্টারনেট সংযোগ পেয়ে দেখি বিষয়টি নিয়ে কত আলোচনা!”
তিনি আরও বলেন,“একজন নাগরিক হিসেবে যার নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে, তিনি আইন মেনে অস্ত্রের লাইসেন্স করতে পারেন। এখানে কোনো বেআইনি কিছু হয়নি।”
বিমানবন্দরের মতো স্পর্শকাতর স্থানে এ ধরনের ঘটনা সাধারণত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে ওঠে। তবে উপদেষ্টার সরল স্বীকারোক্তি, স্পষ্ট ব্যাখ্যা ও দ্রুত প্রতিক্রিয়া বিষয়টিকে আংশিক স্বস্তির জায়গায় নিয়ে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চপদস্থ কেউ অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন কিছু ঘটালেও, নিরাপত্তা মান বজায় রাখতে নিয়মকানুনের যথাযথ অনুসরণ নিশ্চিত করা জরুরি।
Leave a Reply